পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
অনুব্রত মণ্ডল আছেন অনুব্রত মণ্ডলেই, নির্বাচন কমিশনের বারবার সতর্কীকরণকে উপেক্ষা করে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে এবং ভোটারদের উদ্দেশ্যে নানা ধরনের প্রবচন বলেই চলেছেন। বৃহস্পতিবার বোলপুরে ডাকবাংলা মাঠে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থীর সমর্থনে এক বিশাল জনসভার আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস ।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী রামচন্দ্র ডোম পরপর ওই কেন্দ্রে তিনবার হেরে হারে হ্যাটট্রিক করবেন।ফল ঘোষণার পর তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয় মিছিলে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীকে সামনের সারিতে খোল কর্তাল দেওয়া হবে যাতে তিনি তৃণমূলের বিজয় মিছিলে শোভা বাড়াতে পারে।
আরও পড়ুনঃ পাঁচন,নকুল দানার পর লেবু জলের নিদান অনুব্রতর
বক্তব্য দিতে কি অনুব্রত মণ্ডল বলেন ভোটের দিন সকাল থেকে ভোটাররা যখন ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে আসবেন তখন তাদেরকে শলাকা দিয়ে ইঙ্গিত দেওয়া হবে,”শলাকা” বলতে তিনি পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দেন যাকে আদবে গ্রাম বাংলার ভাষায় বলা হয় “কাঠি”।তবে ভোটারদের উদ্দেশ্যে কাঠির ইশারা কি হবে সে বিষয়ে তিনি কোন খোলসা করেননি।তিনি বলেন ওই শলাকা যাদের উদ্দেশ্যে দেখানো হবে তারা ঠিক বুঝে যাবে এবং জোড়া ফুলে তাদের ভোট দিয়ে দেবে।
নির্বাচন এলেই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মুখে উঠে আসে নতুন নতুন গ্রাম বাংলার ভাষায় বলা ভালো শব্দ, কখনো পাচন, কখনো বাতাসা, কখনো গুড়, আবার ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে নতুন সংযোজন নকুল দানা, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তিনি বিভিন্ন মিটিং মিছিলে বলেছেন যে এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূল কর্মীরা নকুলদানা বিলি করবে যারা নকুলদানা খাবেন তারাই তৃণমূলকে ভোট দেবেন, এমনই দাবি অনুব্রত মণ্ডল করেন, কিন্তু যেন নকুলদানা খাবেন না তাদের জন্য কি দাওয়াই ভেবে রেখেছেন অনুব্রত মণ্ডল সেটাও তিনি আজ পরিষ্কার করে বলে দেন, তাদের উদ্দেশ্যে দেখানো হবে কাঠি বা শলাকা।
বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী বলেন,নির্বাচন এলেই অনুব্রত বাবু শব্দ সন্ত্রাস তৈরি করে ভোটারদের কে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন, ভোটকেন্দ্রে যাবার আগেই ভোটারদেরকে ভয় দেখিয়ে হয় তিনি বোঝাতে চান যে ভোট দিতে যাবে না ভোটাররা অথবা যদিও বা ভোট কেন্দ্রে যান তাহলে ভোটটা যেন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষেই যায়, এ গণতন্ত্রের পক্ষে খুবই বিপদজনক।
নির্বাচন কমিশনের উচিত অনুব্রত মণ্ডল কে কড়া হাতে পরিচালনা করা।কে জিতবে কে হারবে সেটা বড় কথা নয় বড় কথা হলো সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা,তা যদি নির্বাচন কমিশন না করতে পারে তাহলে সেটা নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা।অন্যদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে না নানুরের খুজুটিপারা তে তৃণমূলের অন্য একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল ভাষা সংগ্রাম হারিয়ে ফেলেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী কে আক্রমন করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বাবার বাড়িতে কি মিসাইল তৈরি হয়েছিল যে উনি কৃতিত্ব নিচ্ছেন,কৃতিত্ব তো নেওয়া উচিত ভারতের বিজ্ঞানীদের যারা তৈরি করেছেন, সে সব বিজ্ঞানীদের আমরা সম্মান করি,তাদের কে প্রণাম জানাই।কিন্তু মোদি তিনি তো চোর, ভাঁওতা বাজ, ধাপ্পাবাজ ১৫ লক্ষ টাকা দেবো বলে দেয়নি, গ্যাসের দাম কমাবো বলে কমায় নি, তাই মোদি বাবুর এবার আর ফিরে আসার কোন সম্ভাবনাই নাই। পাঁচ বছর ধরে মানুষকে বোকা বানিয়ে তাদেরকে শোষণ করেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584