শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
রয়ে গেল একাধিক বিচারাধীন মামলা। জেলবন্দি থাকা অবস্থাতেই ওড়িশার জেলে মারা গেলেন আইকোর কর্তা অনুকূল মাইতি। শনিবার রাতেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে কারা দফতর সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার মাধ্যমে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা তোলার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার আগে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি ২০১৫ সালে গ্রেফতার করেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের এই চিটফান্ড সংস্থার মালিককে।
সিবিআইয়ের দাবি, আইকোর বেআইনি ভাবে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশা-র কয়েক লক্ষ লগ্নিকারীর কাছ থেকে প্রায় ৩০০০ হাজার কোটি টাকা তুলেছিল। প্রাক্তন সাংবাদিক সুমন চট্টোপাধ্যায়কেও এই সংস্থার সঙ্গে যোগসূত্রের কারণেই জেলে যেতে হয়েছিল বলে সিবিআই সূত্রের খবর। যদিও সুমন চট্টপাধ্যায়ের আইনজীবী বরাবরই দাবি করেছেন, তিনি সংস্থার থেকে কোনোভাবেই সরাসরি সুযোগ সুবিধা নেননি।
আরও পড়ুনঃ অর্ণবকে রক্ষাকবচ সুপ্রিম কোর্টের
ওড়িশার প্রতারিত লগ্নিকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে অনুকূল মাইতি ছাড়াও তাঁর স্ত্রী কণিকাকেও গ্রেফতার করে সিবিআই। তাই গ্রেফতারের পরে ওড়িশা নিয়ে যাওয়া হয় অনুকূলকে। তাকে ভুবনেশ্বরের ঝারপড়া বিশেষ কারাগারে রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় বর্ষীয়ান-কোমর্বিড করোনা রোগীর মৃত্যু ঠেকাতে কলসেন্টার পরিষেবা
কারা দফতর সূত্রে খবর, জেলে থাকাকালীন বেশ কয়েকবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অনুকূল মাইতি। বেশ কয়েক দফা তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়। শনিবার রাতে তিনি ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। রবিবার সকালেই ফোনে খবর পেয়ে ভুবনেশ্বর যান কণিকা। তিনি স্বামীর সঙ্গে গ্রেফতার হয়ে জেলে থাকলেও, কয়েক মাস আগেই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। অনুকূলের
পরিবারের দাবি, সম্প্রতি কটক হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন অনুকূলও। কিন্তু জামিনের শর্ত হিসাবে প্রয়োজনীয় বন্ডের টাকা জমা দিতে না পারায় জেল থেকে ছাড়া পাননি তিনি। ভাগ্যের এমনই পরিহাস যার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ছিল, তিনি শেষ পর্যন্ত জামিনের টাকা দিতে না পেরে জেল থেকে ছাড়া পান নি এবং সেখানেই শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু হল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584