তপন চক্রবর্তী,উত্তর দিনাজপুরঃ
স্বপ্ন ছিল নিজে ফুটবল শিখে গ্রামের আর্থিক দিক থেকে দুর্বল প্রতিভাবান কচি কাঁচাদের ফুটবল শিক্ষা দেওয়া।
আদিবাসী সম্প্রদায়ে ছেলে কর্নজোড়ার ছোট পাড়ুয়া গ্রামের অনুপের এটা হার ভাঙা পন।কথা অনুসারে কাজ।বাড়ির সামনের ছোট মাঠে আদিবাসী সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েদের নিয়ে প্রতিদিন সকাল বিকাল ফুটবলকে সঙ্গী করে কিছু একটা করতেই হবে অনুপের কাছে ছিল আদর্শ।নিজে একসময় রায়গঞ্জে মোহন সেনগুপ্তের কাছে ফুটবলের কোচিং নিয়ে সেই শিক্ষা ছোট পাড়ুয়ার মাঠে গ্রামের ছেলেমেয়েদের মধ্যে ফুটবলের শিক্ষা বিলিয়ে দিত।পরবর্তীতে
অনুপ কেরকেটটা রায়গঞ্জ টাউন ক্লাবের মাঠে গিয়ে বড়দের সাথে ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণ করে নিজে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে অনুপ কেরকেটটা।
শিক্ষার শেষ নেই তাই অনুপ খেলাধুলা নিয়েই ফিজিক্যাল এডুকেশন নিয়ে পড়াশুনা শেষ করে।২০০৯ সালে অনুপ রায়গঞ্জ ব্লকের হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্রীড়া শিক্ষকের চাকরিতে যোগ দেয়।
আসলে অনুপের চোখে মুখে একটাই স্বপ্ন ছিল তাকে কিছু একটা করে দেখাতে হবেই।বিদ্যালয়ে চাকরি করার সুবাদে তার এই কাজটা আরও সহজ হয় অনুপ কেরকেটটা রায়গঞ্জ টাউন ক্লাবের মাঠে গিয়ে বড়দের সাথে ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণ করে নিজে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে অনুপ কেরকেটটা।শিক্ষার শেষ নেই তাই অনুপ খেলাধুলা নিয়েই ফিজিক্যাল এডুকেশন নিয়ে পড়াশুনা শেষ করে।
২০০৯ সালে অনুপ রায়গঞ্জ ব্লকের হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্রীড়া শিক্ষকের চাকরিতে যোগ দেয়।
আসলে অনুপের চোখে মুখে একটাই স্বপ্ন ছিল তাকে কিছু একটা করে দেখাতে হবেই।
বিদ্যালয়ে চাকরি হবার সুবাদে তার এই কাজটা আরো সহজ হয়ে যায়।অনুপ কেরকেটটা প্রসঙ্গে রাগঞ্জ টাউন ক্লাবের সম্পাদক অরিজিৎ ঘোষ বলেন অনুপ কেরকেটটা যে স্বপ্ন নিয়ে প্রথম থেকেই এগিয়ে এসেছিল হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এসে তার স্বপ্ন সফল হয়েছে।এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিরুদ্ধ সিনহার সহযোগীতায় হাতিয়া বিদ্যালয়ে মহিলা ফুটবল দল তৈরি করে অনুপ কেরকেটটা যথেষ্ট কৃতিত্ব যে দেখিয়েছেন এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
ফুটবল কোচ অনুপ কেরকেটটা বলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিরুদ্ধ সিনহার সার্বিক সহযোগিতা না পেলে কখনই সম্ভব হতনা এই মহিলা ফুটবল দল তৈরী করা।হাতিয়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাত্রীদের ফুটবল টিম গড়া নিয়ে প্রথম থেকেই প্রচন্ড আগ্রহী।তার অনুপ্রেনার আজ এতদুরে আমাদের হাতিয়া বিদ্যালয় পৌঁছাতে পেরেছে বলা যায়।বিদ্যালয়ের শিক্ষক তথা কোচ অনুপ কেরকেটটা জানান বেশিদিনের কথা নয়।
২০১৪সাল থেকে হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে ফুটবল দল আমরা গড়ি।আমাকে আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষক ঠাকুর প্রসাদ রায় এ ব্যাপারে সব সময় সাহায্য করেছেন বলে অনুপ বাবু জানান।দুইবছর সকাল বিকাল ছাত্রীদের নিয়ে প্রচন্ড পরিশ্রম করার পর আমরা তার সুফল পাই।পরবর্তীতে আমাদের হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মহিলা ফুটবল দল নিয়ে মেদিনীপুর,বীরভূম, বাঁকুড়াতে খেলার সুযোগ পাই।
২০১৮সালে উত্তর দিনাজপুর জেলায় আমাদের বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়।অনুপ বাবু বলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সড়লা উচ্চ বিদ্যালয় যদি মহিলা ফুটবল দল তৈরি করে সুনামের অধিকারী হতে পারে তাহলে উত্তর দিনাজপুর জেলার হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন মহিলা ফুটবল দল তৈরী করতে পারবেনা?হাতিয়া বিদ্যালয়ের কোচ অনুপ কেরকেটটা বলেন রায়গঞ্জ টাউন ক্লাবের সম্পাদক তথা বিশিষ্ট ফুটবল কোচ অরিজিৎ ঘোসের কাছে ফুটবল কোচিং বেশ কিছু দিন তিনি নিয়েছিলেন।ভালো ফুটবল কোচ কিভাবে হতে হয় অরিজিৎ ঘোষের কাছেই শিখেছি।আরিজিৎবাবুর কাছ থেকে ফুটবল কোচের অনেক টেকনিক্যাল শিক্ষা পেয়েছি যা বর্তমানে আমি কাজে লাগাতে পারছি।
অনুপ কেরকেটটা বলেন হাতিয়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিরুদ্ধ সিনহা এবং রায়গঞ্জ টাউন ক্লাবের সম্পাদক তথা বিশিষ্ট ফুটবল কোচ অরিজিৎ ঘোসের উৎসাহ পেয়েই আমার এবং আমার হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মহিলা ফুটবল দল অনেকটাই এগিয়েছি এবং গ্রামের মেয়েরাও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পেলে ভালো মহিলা ফুটবল খেলোয়াড় হতে পারে তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584