শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
যে কোনও ইস্যুতে যে কোনও রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক মিটিং-মিছিল করতেই পারে। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিজেপির নবান্ন অভিযানের বিরুদ্ধে হাওড়ার একটি মিছিলে যে ভাবে জল কামান ব্যবহার করা হয়েছিল, তা সম্পূর্ণভাবেই গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার পরিপন্থী।

অভিযোগ, হাওড়ার ওই মিছিলের ওপরে যে জলকামান চালিয়েছে পুলিশ, সেই জলে বিশেষ ধরনের কেমিক্যাল মেশানো ছিল। একইসঙ্গে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ও ফাটানো হয়। ঘটনাস্থলেই রক্তবমি করে হাসপাতালে ভর্তি হন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার এই ঘটনা নিয়ে এবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কে চিঠি পাঠাল এপিডিআর বা অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ ডেমোক্র্যাটিক রাইটস।
আরও পড়ুনঃ করোনা রোগীদের জন্য এবার নতুন এইচডিইউ আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে
এপিডিআর এর সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য রঞ্জিত শূর জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিজেপির মিছিলে যেভাবে রং ব্যবহার করা হয়েছে, তা ক্ষতিকারক বলেই দাবি করা হয়েছে। জলে রং মেশানোর কী প্রয়োজনীয়তা ছিল, তা জানা যায়নি। আর সেই রং মানুষের শরীর বা জামা কাপড় থেকে ওঠেনি এবং মনে করা হচ্ছে আগামী ২-৩ দিন নাও উঠতে পারে।
ফলে আগামী দু-তিন দিন নবান্ন অভিযানে অংশ গ্রহণকারী বিজেপি কর্মীদের শনাক্তকরণের সুবিধা হবে পুলিশের। তার ফলে তাদের মানবাধিকার লংঘন হতে পারে। বিজেপি কর্মীদের চিহ্নিত করে শারীরিক নিগ্রহ করার সুযোগ পেয়ে যাবে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ দিনহাটায় কলেজ স্থাপনের দাবিতে বিডিও অফিস ঘেরাও বামছাত্র-যুবদের
এই ধরনের ঘটনা রাজ্য মানবাধিকার আইনের বিরোধী। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের এই ধরনের রঙের ব্যবহার বারণ করা হয়েছিল। এই ধরনের রঙ অনেক সময় শারীরিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই এই ঘটনায় যে যে সরকারি অফিসার জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে না হয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে আবেদন করেছে এপিডিআর।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584