রিচা দত্ত,মুর্শিদাবাদঃ
প্রচারের লড়াই শুরু হয়েছে পূর্বেই।চায়ের দোকান থেকে অফিস চত্বর সর্বত্রই চাপা গুঞ্জন কে জিতছে এই আলোচনায়।এক কালের স্নেহধন্য ভাই কি পারবে কি কুড়ি বছরের অধীর গড় ধূলিসাৎ করে ঘাসফুট ফোটাতে।জেলা পরিষদ থেকে বহরমপুর পৌরসভা সর্বত্রই তৃণমূলের দখলে এলেও লোকসভা এখনও কংগ্রেসের দখলে।
তাই রাজ্যের শাসকদলের চ্যালেঞ্জ বহরমপুর দখলের।দলগত ভাবে তৃণমূলের ঘোষিত প্রার্থী অপূর্ব সরকার,যাকে ২০০৬ সালে প্রদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী অতীশ সিংহর বিরুদ্ধে কান্দী বিধানসভায় কুড়ুল চিহ্নে প্রার্থী করেছিলেন তৎকালীন জেলা সভাপতি অধীর চৌধুরী।
আরও পড়ুনঃ চার বারের সাংসদ সমস্যা জানা,মনোনয়ন জমা দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করার অঙ্গীকার রনেন বর্মনের
২০০৬ বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলায় যে তিনজনকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে টিকিট দিয়েছিলেন অধীর তাদের মধ্যে নিয়ামত সেখ আগেই রাজ্যের শাসক শিবিরে নাম লিখিয়েছেন।তারপর গেলেন অপূর্ব সরকার।এখনও দলে আছেন বহরমপুর বিধানসভার বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী।
বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃনমূল কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী হিসাবে সেই অপূর্ব সরকার আজ দুপুরে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন বহরমপুর প্রশাসনিক ভবনে। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বহরমপুর জেলা তৃনমূল কংগ্রেস কার্যালয় থেকে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী সহ কয়েক হাজার তৃনমূল সমর্থক ও নেতা কর্মীদের নিয়ে অপূর্ব সরকার বিশাল মিছিল করেন।
মিছিলের অগ্রভাবে তৃনমূলের দলীয় পতাকা কাঁধে নিয়ে পরিবহন মন্ত্রী তথা জেলার পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে আসেন। বহরমপুর লালদিঘীর ধার হয়ে সেই মিছিল এগিয়ে যায় বহরমপুর কালেক্ট্ররেট মোড়ের দিকে।
সেখান থেকে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী চারজন তৃনমূল নেতাকে নিয়ে প্রার্থী অপূর্ব সরকার মনোনয়ন জমা দিতে যান। সেখানে গিয়ে কনফারেন্স হলে পৌছান তিনি।তিনি তার মনোনয়নপত্র পরীক্ষার পর মনোনয়ন জমা দেন বহরমপুর রির্টানিং অফিসার তথা জেলার নির্বাচন আধিকারিক পি উলগানাথনের কাছে।সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন এই বহরমপুর কেন্দ্রে তাদের জয় নিশ্চিত।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584