নিউজডেস্ক,কলকাতাঃ
গত শনিবার রাত্রে ফেসবুক লাইভ করে আত্মঘাতী হয় সোনারপুরের বৈদ্যপাড়া এলাকার কামরাবাদ হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী মৌসুমী মিস্ত্রি।রবিবার সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।প্রাথমিক অনুমানে মনে করা হয় প্রণয় ঘটিত কারনেই এই আত্মহত্যা।তদন্তে নামে সোনারপুর থানার পুলিশ।আত্মঘাতী ছাত্রীর মোবাইলের সূত্রেই তদন্তকারীরা জানতে পারে ‘আরিয়ান’ নামে এক তরুনের সাথে সম্পর্কের অবনতির জেরেই এই আত্মহত্যা।আরিয়ানকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং আজকেই তাকে বারুইপুর আদালতে হাজির করানো হবে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে ‘আরিয়ান’ নামের ওই ফেসবুক একাউন্টটি ভুয়ো,আসলে আরিয়ান নামের আড়ালে ছিল সুমন দাস।যে মৌসুমীদের পার্শ্ববর্তী পাড়ায় থাকত।আরিয়ানই যে সুমন একথাও নাকি মৌসুমী জানতো না কিছুদিন আগে বন্ধুদের মারফৎ তা জানে।তারপর থেকেই দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য চরমে ওঠে।ফেসবুকে অন্য মহিলাদের সঙ্গে চ্যাট ও ঘনিষ্ঠতা নিয়েও কথা কটাকাটি হয় দুজনের।যদিও পাড়ার স্থানীয় একাংশ থেকে জানা যায় যে,কিছুদিন পূর্বে মৌসুমী মন্দিরে গিয়ে শুভ নামে একটি ছেলেকে বিয়ে করে পরে সুমন বিষয়টি জানতে পেরে যায় এবং তা নিয়ে মতবিরোধের পরিণতি এই আত্মহত্যা।
শনিবার রাত্রে বন্ধুদের সঙ্গে পাড়ার জলসা দেখতে গিয়েছিল সেখান থেকে ফিরে নিজের ঘরে আত্মঘাতী হয় তিনি।আত্মহত্যার পূর্বে ফেসবুকে লাইভ হয়েছিলেন এবং আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগান।এই লাইভে আরিয়ান ওরফে সুমন কমেন্টও করে তার কিছুক্ষণ পর সে মোবাইল বন্ধ করে দেয় হয়ত এটিই ভাবে যে, এতেই বিষয়টি থেমে যাবে কিন্তু শেষমেশ মৌসুমী নিজেকে হত্যাই করে।এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্নও উঠেছে যে,কড়ি কাঠে ওড়না ঝুলিয়ে অত্মহত্যার হুমকি দিচ্ছে যখন তরুণী কথা বলতে বলতেই চেয়ারে উঠে ঝুলে পড়ে ছটফট করে মারাও যাচ্ছে তখন ফেসবুক লাইভের কল্যানে এই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন বেশ কিছু ভার্চুয়াল বন্ধু তারা কেউই ওই তরুনীকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেন না বা তার বাড়িতে যোগাযোগ করেও জানানোর ব্যবস্থা করলেন না।মৌসুমীর এই আত্মহত্যা ভার্চুয়াল বন্ধুত্বের দায়িত্ব হীনতাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় কারালো।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584