নিজস্ব সংবাদদাতা,উঃদিনাজপুরঃ
আদালতে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়লেন মহকুমা শাসক নিগ্রহ কান্ডে অভিযুক্ত দুই শিক্ষক। একই সাথে মনোজ ভৌমিক ও প্রবীর রায় আচমকা অসুস্থতা বোধ করলে তাঁদের রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
হাসপাতালের লক আপেই চলছে ওই দুইয়ের চিকিৎসা। ১৬ মে প্রিসাইডিং অফিসার রাজকুমার রায়ের রহস্যমৃত্যুর প্রতিবাদে ভোটকর্মীদের আন্দোলনের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রায়গঞ্জ। শহরের ঘড়ি মোড় এলাকায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। সেই সময় রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক টি এন শেরপা আন্দোলনরত সরকারিকর্মীদের অবরোধ তুলে নেওয়ার কথা বলতে এলে কতিপয় শিক্ষকদের হাতে নিগৃহীত হতে হয় তাঁকে।
এরপরেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। চূড়ান্ত হেনস্থার শিকার হন এসডিও টি এন শেরপা। ধাক্কাধাক্কি, কিল,ঘুষি সহ এসডিওকে লক্ষ্য করে জুতোও ছোড়েন বিক্ষোভকারীরা। এখানেই ক্ষান্ত না হয়ে এসডিওর গায়ে ও মাথায় জল ঢেলে দেন ক্ষুব্ধ ভোটকর্মীরা। এই ঘটনার পরেই মহকুমা শাসকের উপর হামলার অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষী। এরপরেই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরুকরে পুলিশ। বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করে পুলিশ। এরপরেই শনিবার রাতে ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে রবিবার তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়। এদিকে দুই শিক্ষককে রাতের অন্ধকারে গ্রেফতার করার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রহমটপুর হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক সইদুর রহমান। তিনি বলেন, পুলিশ যেই ভাবে রাত ১টা নাগাদ দুইজনকে তুলে নিয়ে এসেছে তাতে করে সমগ্র শিক্ষক সমাজকে অপমান করা হয়েছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে আমরা ফের শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলনে নামবো। এদিকে গ্রেফতার হওয়ার পর অসুস্থ অবস্থায় কান্নায় ভেঙে পড়েন শিক্ষক মনোজ ভৌমিক। তাঁর দাবী,মহকুমা শাসককে নিগ্রহের ঘটনায় তিনি জড়িত ছিলেন না। তাঁরা শান্তিপূর্ণ ভাবেই আন্দোলন করছিলেন। তিনি পেছনের দিকে ছিলেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584