নিজস্ব সংবাদদাতা, বিনোদন ডেস্কঃ
বছরের শেষ এবং শহরে জমিয়ে শীতের আমেজ। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ফ্যাশন থেকে শুরু করে আর্টের বিভিন্ন লাইভ ইভেন্ট। কোথাও জমিয়ে চলছে মিউজিক্যাল ইভেন্ট আবার কোথাও চলছে দুর্দান্ত আর্টের সমাহার। বছরের ঠিক এই সময়টা অর্থাৎ ডিসেম্বরের এই সময়ে ক্রমশ জাঁকিয়ে শীত পরলেই চারিদিকের এই সকল ইভেন্ট গুলি আর কোনও মতেই ঘরে আটকে রাখতে পারে না জার্নালিস্ট সহ সাধারণ মানুষদের। তেমনই এক ইভেন্ট আর্ট-হাট। ১৭ই ডিসেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার ARTSACRE রাজারহাট ক্যাম্পাস -এ এটির উদ্বোধন হয় এবং সোমবার পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই এক মন ভালো করে দেওয়ার মতো অনুষ্ঠান আর্ট-হাট, ২০২১।
মিউজিক্যাল ইভেন্ট সহ ছিল চেনা এবং অচেনা মুখের সমাহার। বরণীয় শিল্পী শ্রী শুভাপ্রসন্ন -এর পাশাপাশি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শ্রী দেবাশিস সেন, আইএএস। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী সোহিনি সরকার, বিধায়ক জুন মালিয়া সহ বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্বও। খোলা আকাশের নিচে এক রঙিন অনুষ্ঠানের সম্মুখীন হওয়ার সুযোগ, সঙ্গে মনটা ভালো হয়ে যাওয়ার মতো একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার কিংবা উপস্থিত থাকার জন্য দর্শকদের মধ্যে নিজেকে ওই সুন্দর পরিবেশে ফ্রেমবন্দি করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
থার্ড আই -এর পরিচালক অতনু পাল, যিনি একজন অত্যন্ত প্রবীণ, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এবং জনপ্রিয় ফটোগ্রাফার। বিগত ৩৫ বছর ধরে থার্ড আই বিভিন্ন কাজকর্মের মাধ্যমে যারা অত্যন্ত দক্ষ ফটোগ্রাফার কিন্তু কোনও না কোনও কারণবশত যারা ক্যামেরা কিনতে পারেন না কিংবা যাদের কাছে সরঞ্জাম না থাকা বসত সঠিক লক্ষ্য থেকে বঞ্চিত হতে হয়। তাদের পাশেই দাঁড়ায় অতনু পাল ও তার এই স্বপ্নের “থার্ড আই”। তার প্রধান উদ্দেশ্য, যারা অত্যন্ত ভালো ফটোগ্রাফার কিংবা যাদের ফটোগ্রাফির প্রতি টান তাদের হয়ে কাজ করা, তাদের সাহায্য করা, তাদের সঠিক প্রশিক্ষণ দেওয়া, সারা ভারতবর্ষ ব্যাপী বিভিন্ন ওয়ার্কশপ পরিচালনার মাধ্যমে। “থার্ড আই”- এর সঙ্গে একনিষ্ট ভাবে যুক্ত আছেন একজন উচ্চপদস্থ সরকারী আমলা শ্রী অনুপম হালদার। যিনি একাধারে জয়েন্ট কমিশনার অফ রেভিনিউ এবং ডিস্ট্রিক্ট রেজিস্ট্রার, নদীয়া ও থার্ড আই গ্রুপের সদস্য ফটোগ্রাফারও বটে। তিনিও উপস্থিত ছিলেন সেইদিন অনুষ্ঠানে।
এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত অন্য দুই সংস্থা, একটি মধুবন বুটিক এবং অন্য আরেকটি সংস্থা বসন বুটিক যা বাংলার গ্রামীণ সুচিশিল্প ও পরম্পরাকে সরাসরি এনে হাজির করেন শহরের মধ্যভাগে। মধুবন বুটিকের কর্ণধার শ্রীমতী মধুপর্ণা চ্যাটার্জী এবং বসন বুটিকের কর্ণধার শ্রীমতী মুখার্জী এই এক্সিবিশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যেখানে তাদের নিজস্ব গবেষণার ফসল হিসেবে বুটিকের কাজ গুলিও দেখা যায়। একপ্রকার অনবদ্য বলা যেতেই পারে এই পরিকল্পনাকে।
ARTSACRE CAMPUS-এর গোটা এলাকা জুড়ে আর্ট এবং লোক শিল্পের ছড়াছড়ি। বিভিন্ন ফটোগ্রাফারদের তোলা ছবি এবং সেই ছবিগুলিই যেন একপ্রকার বলে দিচ্ছে কতটা যত্ন সহকারে তাদের ফ্রেমে বন্দি করা হয়েছে। এই যে ছবির মধ্যেও লুকিয়ে থাকা তার এক নিজস্ব ভাষা কেবল তারাই পড়তে পারবে যাদের একটু আর্টের প্রতি নেশা আছে এবং এই নেশা ভীষণ স্বাস্থ্যকরও বটে। সবচেয়ে সুন্দর বার্তা এই যে, ছবিগুলি কেবল প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার দেরই তোলা নয়, অনেক সাধারণ ফটোগ্রাফার যাদের এই ফটোগ্রাফির নেশা তাদের ছবিও স্থান পায় সেখানে। সমাজের সেই প্রতিটি স্তরের মানুষজনদের নিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয় এক সুন্দর বার্তা এই এক্সিবিশনে, যা সত্যিই উল্লেখযোগ্য।
আরও পড়ুনঃ বড় ঘোষণা! আরও দুটি কোভিড টিকা ব্যবহারে ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র, অনুমোদন পেল একটি ওষুধও
সরকারি উচ্চপদস্থ অফিসার শ্রী অনুপম হালদার এবং তার সুযোগ্য সহধর্মিণী শ্রীমতী পাঞ্চালী মুন্সির (জয়েন্ট কমিশনার অফ রেভিনিউ) সরাসরি ‘থার্ড আই’এর সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করা যথেষ্টই প্রশংসনীয় এবং উচ্চপদস্থ আমলা হওয়ার সত্ত্বেও শ্রী অনুপম হালদার এবং পাঞ্চালী মুন্সির এই প্রয়াস সত্যিই নজিরবিহীন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584