নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পে এক বন্দীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা অসম জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সিএএ বিরোধী আন্দোলনে বাংলা, কেরল-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে ডিটেনশন সেন্টারের কাজ বন্ধ হয়ে গেলেও, অসমে আগে থেকেই যে ডিটেনশন সেন্টারগুলি রয়েছে তাতে সব মিলে বন্দীদের সংখ্যা হাজারের কাছাকাছি। ইতিমধ্যে মৃত ব্যক্তির সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ এ। জানা গেছে, অসুস্থ হয়ে ওই বন্দী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়।

একটি জাতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর দুলাল পাল নামে বাংলাদেশের এক অনুপ্রবেশকারীকে অসমের একটি ডিতেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পরিবার ওই ব্যক্তির দেহ নিতে অস্বীকার করে এবং দেহ বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলে।
আরও পড়ুনঃ জলাশয় থেকে উদ্ধার নিখোঁজ ব্যক্তির দেহ
বর্তমানে অসমে যে ৬টি ডিটেনশন ক্যাম্প রয়েছে, সেগুলি জেলা সংশোধনাগারের সঙ্গে যুক্ত। প্রত্যেকটিতেই প্রায় হাজার জন করে থাকতে পারেন। অন্যদিকে গোয়ালপাড়ার সপ্তম ডিটেনশন ক্যাম্পটি এখনওতৈরি হচ্ছে। অসম সরকারের দাবি, ফরেন ট্রাইবুইবুনালে যে ২৪ জনকে বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসাবে গণ্য করা হয়েছে গত তিন বছরে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে ডিটেনশন ক্যাম্পে ২০১১ ও ২০১৬ সালে মৃত্যুর সংখ্যা যথাক্রমে ছিল ১ এবং ৪। ২০১৮-১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত প্রাণ গিয়েছে ৭ জনের। অসুস্থতার কারণেই এই মৃত্যু।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584