ডি-ভোটার হওয়ার আশঙ্কায় বেশি সংখ্যায় ভোট প্রদান আসামের সংখ্যালঘুদের

0
91

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

মুসলিম ভোটার অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলিতে গড় ভোট পড়েছে প্রায় ৮৪%। অসমের মোট ভোটারের মধ্যে ৩৫ শতাংশ মুসলিম ভোট। শুধুমাত্র ডি ভোটার হওয়ার আশঙ্কায় মুসলিম বিশেষত বাঙালি মুসলিমদের একটা বড় অংশ প্রতিটা ভোটে প্রয়োগ করেন নিজেদের ভোটাধিকার।

Election rights | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

ব্যতিক্রম হয়নি এবারের ভোটেও। অসমের মোট বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৩৪টি কেন্দ্র মুসলিম অধ্যুষিত, সেই কেন্দ্রগুলি মিলিয়ে ভোট পড়ে ৮৪শতাংশ, আর বাকি ৯২টি কেন্দ্র যেগুলিতে মুসলিম ভোটার খুবই কম সেগুলিতে ৭৯শতাংশ গড় ভোট পড়ে।

এবারের ভোটে রাজ্যের গড় ভোট ৮২শতাংশ কিন্তু মুসলিম প্রধান ৭টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৯০ শতাংশ, আরো তিনটি কেন্দ্রে ৮৯ শতাংশ। ২০১৬ নিধানসভা নির্বাচনে এই ১০টি কেন্দ্রের ৪টিতে জিতেছিল কংগ্রেস আর বাকি ৬টি আসনে জিতেছিল এআইইউডিএফ। অসমের সংখ্যালঘু ছাত্রনেতা তথা অসম মাইনরিটি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের প্রাক্তন এডভাইসর আজিজুর রহমান এবারের ভোটে প্রার্থী হয়েছেন নাওবইচা কেন্দ্র থেকে। তিনি জানিয়েছেন মুসলিম ভোট অনেক গুন বেশি পড়েছে অন্য সম্প্রদায়ের তুলনায়।

আরও পড়ুনঃ ‘সঠিক’ অ্যাম্বুল্যান্সে না আনায় ফেরালো গুজরাটের হাসপাতাল, শ্বাসকষ্টে মারা গেলেন বাঙালি অধ্যাপক

তিনি জানান, অন্য সম্প্রদায়ের ভোটাররা পার্টি, প্রার্থী ইত্যাদি বিবেচনা করে ভোট দেন। কিন্তু মুসলমান ভোটাররা, মূলত বাঙলাভাষী মুসলমানরা তুলনায় অনেক কম শিক্ষিত ও খুবই দরিদ্র; তাঁরা কিন্তু নিজেরা আলাপ আলোচনা করে তবেই ভোট দেন।

আজিজুর আরও গভীরে গিয়ে জানান বিষয়টি। তিনি বলেন এই যে বিপুল সংখ্যায় মুসলিমরা ভোট দেন তার কারণ এটা নয় জও তাঁরা নিজেদের ভোটাধিকার নিয়ে খুব ওয়াকিবহাল। তাও বিশাল সংখ্যার মুসলমান ভোট দেন কারণ তারা সর্বদা মনে মনে আশংকায় ভোগেন যে ভোটার তালিকা থেকে যদি একবার নাম বাদ যায় তাঁদের ডি-ভোটার ঘোষণা করবে সরকার।

আরও পড়ুনঃ কয়লা কাণ্ডে অনুপ মাজির রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট

এ প্রসঙ্গে ২৬ বছর বয়সী এক তরুণ হাফিজুর রহমান জানান, তিনি জানিয়া কেন্দ্রের ভোটার। আজ পর্যন্ত যতগুলি ভোট হয়েছে তাঁর ভোটার তালিকায় নাম ওঠার পরে, প্রতিটি নির্বাচনে তিনি ভোট দিয়েছেন। ১৫০ কি. মি দূর থেকে তিনি বাড়ি আসেন শুধুমাত্র ভোট দিতে, কারণ সেই একই আশংকা, ভোট না দিতে পারলে, যদি ভোটার তালিকায় ডিভোটার ছাপ পড়ে যায় এই ভয়ে। অসমের সংখ্যালঘু মানুষেরা প্রতিনিয়ত এই আশঙ্কা নিয়ে দিন কাটান, যাতে না ডি-ভোটার হতে হয় তাঁদের।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here