সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে।
দুর্গাপুরের ফরিদপুর লাউদোহা থানার কমলপুরের এই ঘটনা ঘিরে উত্তাল এলাকা।
জানা যায়, দুর্গাপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের কমলপুরের নাচন রোডের ধারে একটি ঘরের থামে স্থানীয় যুবক আনন্দ চন্দ্রকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করা হয়।সকালে প্রথমে একবার মারধর করা হয় পরে ফের থামে বেঁধে মারধর করে তৃণমূল কর্মীরা।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা নিখিল নায়েকের এক আত্মীয় সহ চারজন মারধর করেন বলে জানা যায়।আনন্দকে তার মা গিয়ে উদ্ধার করেন এবং দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
আনন্দের দাবি,পাথর খাদানে নানা অনিয়ম হচ্ছে।সেই নিয়েই নিখিলবাবুর বিরুদ্ধে সরব হতেই তাকে মারধর করা হয়েছে।
বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়, লোকসভা ভোটে কমলপুরের দুটি বুথে বিজেপি ‘লিড’ পাওয়ার পর থেকে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল।
এলাকার মানুষরা বিভিন্ন কারখানায় কাজ করে দিন গুজরান করে। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করে বিজেপি সমর্থকদের বের করে দেওয়া হচ্ছে।
আনন্দের অভিযোগ, কয়েকদিন আগে তার বাড়িতে হামলা হয় এবং সকালে কাজে যাওয়ার সময় তৃণমূল নেতার ভাইপো সহ চারজন তাকে মারধর করে।
দুর্গাপুরের বিজেপি নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় তৃণমূলের যারা জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান এবং বিজেপির একজন সক্রিয় কর্মী বলে আনন্দর পরিচয় দেন।
আরও পড়ুনঃ কালনায় তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে
দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও নিখিলবাবু এসব দাবি অস্বীকার করছেন। নিখিলবাবু বলেন,আনন্দ অনেকের থেকে টাকা নিয়েছে।টাকা ফেরত দিতে না পাওয়ায় আনন্দকে মারধর করেছে।এই ঘটনা তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যদিও তা সত্য নয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584