শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
যেভাবে একের পর এক নার্স ইস্তফা দিচ্ছেন, তাতে এরপরে রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা সামাল দেওয়া ক্রমশ অসম্ভব হয়ে পড়বে। ইতিমধ্যেই দু’দফায় সাড়ে তিনশো জন ভিনরাজ্যের নার্স ছেড়ে গিয়েছেন। তাই এই সমস্যার সমাধান এবং মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখল অ্যাসোসিয়েশন অফ হসপিটালস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া। চিঠি পাঠানো হয়েছে নার্সিং কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াকেও।
এদিকে রাজ্য ছেড়ে নার্সদের একের পর এক চলে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য ভবনও। শনিবার রাতের মধ্যেই হাসপাতালে নার্সের সংখ্যা জানতে চেয়ে একটি বিশেষ চিঠি পাঠানো হয় সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালকে। আর রবিবারের দুপুরের মধ্যেই সমস্ত হাসপাতালগুলি থেকে সেই তথ্য জমা পড়েছে স্বাস্থ্য ভবনে।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনে সাম্মানিক না পেয়ে অসহায় রাজ্যের ১০ হাজার আংশিক সময়ের শিক্ষক
প্রসঙ্গত, যে রাজ্যের নার্সরা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, তাদের রাজ্যে সংক্রমণের হার খুবই কম। এদিকে কলকাতায় ২৫০০ সংক্রমণ পেরিয়ে গিয়েছে। তাই সংক্রমণের দাপট না কমলে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে কাজ চালাতে নারাজ নার্সরা। সেক্ষেত্রে তারা চাকরি ছেড়ে দিতেও পিছপা নন। কিন্তু ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে কিছুতেই রাজি নন। অথচ, এঁদের নার্সিংয়ের উপরেই নির্ভরশীল কলকাতার বহু বিখ্যাত হাসপাতাল, নার্সিংহোম।
আরও পড়ুনঃ ভাড়া না বাড়ায় সোমবার থেকে রাস্তায় বাস নামাতে নারাজ বেসরকারি বাস সংগঠনগুলি
এই পরিস্থিতিতে অ্যাসোসিয়েশন অফ হসপিটালস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে চিঠি লিখে অনুরোধ করেছে, যে রাজ্যের বাসিন্দা এই নার্সরা, সেই সব রাজ্য সরকারের সঙ্গে যেন নবান্নের তরফে কথা বলা হয়। নার্সরা এই রাজ্যেই কাজ করুন। নার্সিং কাউন্সিলকেও হস্তক্ষেপ করতে আবেদন করা হয়েছে।
এদিকে স্বাস্থ্য ভবন থেকে চিঠি আসার পর প্রত্যেক বেসরকারি হাসপাতালে কত জন নার্স ছিলেন বা আছেন, কে কোন কোন পোষ্টে কাজ করেন, তাঁদের মধ্যে কতজনের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য রাজ্যে, অন্য রাজ্যের বাসিন্দা হলে কোন রাজ্যের কত বাসিন্দা এখানে নার্সিংয়ের কাজ করেন ইত্যাদি জানতে চাওয়া হয়। এই রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালের এই মুহূর্তে নার্সদের সংখ্যা ও সম্পর্কিত তথ্য জেনে নিতে চায় স্বাস্থ্য দফতর। সেই মত সমস্ত হাসপাতাল থেকে তা স্বাস্থ্য দফতরকে জানিয়ে দেওয়া হয়। গোটা তথ্যটি নিজেদের কাছে রাখার পাশাপাশি নবান্নেও পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক স্বাস্থ্য আধিকারিক। খুব দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584