দিনহাটার নাজিরহাটে বিজেপি পার্টি অফিসে হামলার অভিযোগ তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে

0
57

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ

বিজেপি পার্টি অফিসে হামলার অভিযোগ তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনাটি ঘটেছে দিনহাটা ২ নং ব্লকের নাজিরহাট বাজারে এলাকায়। ওই হামলায় বিজেপির মহিলা মোর্চার মণ্ডল সদস্যার স্বামী গুরুতর জখম হন।

BJP supporter | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

তিনি চোখে গুরুতর আঘাত পান বলে জানা যায়। তাকে প্রথমে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে কোচবিহার এমজেএন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ওই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা থাকায় ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

Injured person | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আক্রান্ত ওই ব্যক্তির নাম দীননাথ বর্মণ। তার বাড়ি নাজিরহাট বাজার সংলগ্ন এলাকায়। বিজেপির অভিযোগ, গতকাল দিনের বেলায় দীননাথ দিল্লি থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। তারপর তিনি তার স্ত্রীর সাথে দেখা করতে নাজিরহাট বাজারে বিজেপির দলীয় কার্যালয় যান।

তারপর সেখানে যাওয়ার পরেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপি দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। সেখানে তাকে ব্যাপক ভাবে মারধর করে। এবং তার চোখ তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরা। পরে তাকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাকে রাতেই স্থানান্তরিত করা হয় কোচবিহার এম জে এন হাসপাতালে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ফ্লেক্স ছেঁড়া ঘিরে তরজা দাঁতনে

এদিন বিষয়ে কোচবিহার কিষান মোর্চার সহ-সভাপতি জীবেশ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, নাজিরহাট বাজারে বিজেপির পার্টি অফিসে তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা বেল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে হামলা চালায়। এই হামলায় বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যার স্বামী দীননাথ বর্মণ গুরুতর জখম হন। হামলায় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা তার চোখ খুবলে নিয়েছে। তাকে যখন আমরা দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসি ডাক্তারবাবু সাথে সাথে তাকে কোচবিহারে রেফার করেন।

তিনি আরও জানান, পরিবারটি অত্যন্ত দরিদ্র। তাই তার চিকিৎসার ব্যয় ভার কে বহন করবে ? দীননাথ বাবু গতকাল দিল্লী থেকে বাড়িতে এসেছেন। সে এমন কি দোষ করেছিল ? এটাই কি তার অপরাধ যে তার স্ত্রী বিজেপি করে। আমরা কোথায় বাস করছি, আমরা কি এখানে বাস করে অন্য কোন দলকে সমর্থন করতে পারবো না!

আরও পড়ুনঃ মনোরঞ্জনের উপর হামলার প্রতিবাদে মিছিল তৃণমূলের

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি এদের গ্রেফতার না করা হয় তাহলে আমরা সাহেবগঞ্জ থানায় ডেপুটেশন দেব। তা না হলে থানা ঘেরাও করব। পরবর্তীতে দলের তরফ থেকে যা নির্দেশ আসবে তা করতে বাধ্য হব।

যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে দিনহাটা ২ নং ব্লকের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি তাপস দাস। তিনি বলেন,”বিজেপির মধ্যে এখন নব্য ও পুরাতন কর্মীদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল চলছে। তা নিয়ে তাদের দলীয় কার্যালয়ে একটা ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। ওই ঘটনার সাথে তৃণমূল বা তৃণমূল যুব কংগ্রেস যুক্ত না। মানুষ বুঝে গেছে কারা ওই এলাকায় সন্ত্রাস করার চেষ্টা করছে। তারা নিজেদের মধ্যে মারপিট করে তৃণমূলের নামে বদনাম করে মানুষের সহানুভুতি পাওয়ার চেষ্টা করছে।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here