রিচা দত্ত,মুর্শিদাবাদঃ
গতকাল সন্ধায় দলীয় কার্যালয়ে আক্রন্ত হন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি তথা মুখপাত্র আশোক দাস।১৯ জানুয়ারির কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশ সফল করতে বহরমপুর টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজিত হয় মিছিল এবং মিছিল শেষে ঘটে এই ঘটনা।এই ঘটনার পর দলীয়ভাবে টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নাড়ু গোপাল মুখোপাধ্যায় জানান যে,এই ঘটনা বিরোধীদের চক্রান্ত।আশোক দাসের উপর আক্রমনের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন,বহরমপুর পৌরসভার কাউন্সিলর কানাই রায়।ঘটনার বিবরণ জানতে কানাই রায়কে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।কিন্তু পরবর্তীতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।কানাই রায়কে আজ আদালতে পেশ করা হলে তার চোদ্দদিনের জেল হেফাজত ঘোষনা করা হয়।এই ঘটনাই আর এক ধৃত ফিরোজ সেখ তার পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত ঘোষিত হয়।
এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহল পূর্বেই সন্দেহ করেছিলেন এটি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।১৯ জানুয়ারির ব্রিগেড উপলক্ষে জেলা সভাপতি ঘোষিত মনিটারিং কমিটির পাশাপাশি পরের দিনই মহকুমা মনিটারিং কমিটি ঘোষনা করেন অশোক দাস সহ আরও কয়েকজন নেতৃত্ব।কিন্তু আজকেও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বহরমপুর টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বলেন যে,এটি বিরোধীদের চক্রান্ত সেই চক্রান্তের অংশীদার দলের কয়েকজন পুলিশ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।দলে কোন গোষ্ঠী দ্বন্দ্বকে অস্বীকার করেন তিনি।একই সাথে বহরমপুর পৌরসভার পৌরপতি নীলরতন আঢ্য বলেন,আইন,আইন মোতাবেক চলবে সে যেই হোক।ধৃত কানাই রায় আদালতে যাওয়ার পথে জানাই যে,তাকে ফাঁসানো হয়েছে।অশোক দাসের সাথে তিনিও আক্রান্ত হন বলে জানান।
আক্রান্ত অশোক দাস বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: সবলা ও ক্রেতা সুরক্ষা মেলার সূচনা বহরমপুরে
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584