নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুরঃ
দাবি মতো পণের টাকা না মেলায় চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পুড়িয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। তাঁর শরীরে আগুন দেওয়ার আগে বিষ খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে রায়গঞ্জ থানার মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ষোলোবিঘা গ্রামে। গৃহবধুর চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কাজনক অবস্থায় বধূ কে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ নিয়ে আসেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। গৃহবধূর স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক।
আরও পড়ুনঃ ফরাক্কায় অব্যাহত গঙ্গার ভাঙন, এবার হোসেনপুরচর
রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধূর শরীরের অধিকাংশ অংশই পুড়ে গিয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় অন্য মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়েছে। কিন্তু সোমবার দুপুর পর্যন্ত ওই গৃহবধূকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। জানা গিয়েছে, পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি মিলন রায়ের সঙ্গে আট মাস আগে রায়গঞ্জ থানার বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা রাখি রায়ের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই রাখিকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া শুরু করেন স্বামী মিলন রায়। সম্প্রতি প্রায় দুই লক্ষ টাকা বাপের বাড়ি থেকে আনার জন্য রাখির ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু টাকা না পেয়ে বধূর ওপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার শুরু করে মিলন রায় ও তার পরিবার। রবিবার প্রথমে রাখিকে বিষ মেশানো দুধ খাইয়ে তারপর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584