ওয়েবডেস্ক, নিউজফ্রন্টঃ
অবশেষে যাদবপুর ইউনিভার্সিটির তিন নম্বর গেট দিয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে নিজ গাড়ি করে রাজ্যপালের কনভয় বেরিয়ে গেল। আর ঠিক রাজ্যপালের বেরোনোর পর পরই ইউনিভার্সিটি চত্বরে প্রবেশ করল র্যাফ বাহিনী।
ঘটনার সূত্রপাত, যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে নবীন বরণ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে এবিভিপি এর আমন্ত্রণে গায়ক হিসেবে আসেন বাবুল সুপ্রিয় । তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের অভিযোগ বাবুল সুপ্রিয় ইউনিভার্সিটিতে এসেছিলেন অন্য কোন উদ্দেশ্যে । বাবুল সুপ্রিয় ইউনিভার্সিটিতে প্রবেশ করলে তাকে ঘিরে ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে ।
শুরু হয় ধস্তাধস্তি, তর্কাতর্কি ও ধাক্কাধাক্কি ।বাবুলকে উদ্ধার করে অনুষ্ঠানের দিকে নিয়ে যেতে আসেন যাদবপুর ইউনিভার্সিটির উপাচার্য । কিন্তু উপাচার্য এবং বাবুল সুপ্রিয় এর মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয় । বাবুল সুপ্রিয় উপাচার্যকে পুলিশ ডাকার পরামর্শ দিলে উপাচার্য বলেন তিনি পদত্যাগ করতে রাজি কিন্তু পুলিশ ডাকবেন না । বাবুলকে ইউনিভার্সিটি থেকে বের হতে না দেওয়ার উদ্দেশ্যে তাকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্র-ছাত্রীরা। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও পরিস্থিতি কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
অবশেষে বাবুলের ফোন পেয়ে বাবুলকে উদ্ধার করতে ইউনিভার্সিটি চত্বরে প্রবেশ করেন রাজ্যপাল স্বয়ং । এরপরে পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ মোড় নেয় । রাজ্যপালের গাড়িতে বাবুল কোনরকমে প্রবেশ করে বসলেও গাড়ির চাকা এক ইঞ্চি গড়াতে দেয়নি বিক্ষোভকারীরা ।
গাড়িতে বসে রাজ্য প্রশাসনের নেতা মন্ত্রী ও শীর্ষ আধিকারিকদের সাথে যোগাযোগ করেন রাজ্যপাল। এরইমধ্যে ইউনিভার্সিটি ৪ নং নম্বর গেটের সামনে মাথায় হেলমেট পরে লাঠি হাতে তাণ্ডব শুরু করে এবিভিপি সর্মথকরা। পুড়িয়ে ফেলা হয় কম্পিউটার চেয়ার টেবিল। ভাঙচুর করা হয় ইউনিভার্সিটির ইউনিয়ন রুমে ।
আরও পড়ুনঃ খড়্গপুরে আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদে বিজেপির বিক্ষোভ
সবশেষে তিন নম্বর গেট দিয়ে রাজ্যপালের কনভয় বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে কোনো রকমে ইউনিভার্সিটি চত্বর থেকে বেরিয়ে আসেন ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584