চিত্তরঞ্জন নিয়ে বাবুলের মন্তব্যে সরব বিরোধীরা

0
71

সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ

চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার বিষয়ে কেন্দ্র যা করতে চাইছে তাতে ভালোই হবে সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এমন মন্তব্যের পরে নানা দলের শ্রমিক সংগঠনগুলি প্রতিবাদে সরব হল।

শুধুমাত্র শ্রমিক সংগঠন নয় অন্যান্য দলের নেতারাও এর তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। তাঁদের দাবি, হিন্দুস্তান কেবলস এবং বার্ন স্ট্যান্ডার্ড এই দুই কারখানা বন্ধের প্রভাব শিল্পাঞ্চলে পড়েছে।

Babul Supriyo | newsfront.co
ছবিঃ প্রতিবেদক

এরপরে চিত্তরঞ্জন কারখানা বেসরকারি হাতে তুলে দিলে জেলার অর্থনীতিতে জোর ধাক্কা লাগবে বলেই মত নেতাদের।

চিত্তরঞ্জন কারখানাটিকে কর্পোরেট করার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল।

সংগঠনগুলি এর প্রতিবাদ করেছে। এর মধ্যেই বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় দাবি করেন চিত্তরঞ্জন কারখানা নিয়ে বৈঠক তিনি করেছেন।

পিপিপি মডেল গোটা দুনিয়ায় জনপ্রিয় হয়েছে। এখানেও সেই ভাবনা আনা হচ্ছে। তিনি পরামর্শ দেন শ্রমিক সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতাদের কথায় বিভ্রান্ত না হওয়ার।

আরও পড়ুনঃ কার্যালয় উদ্বোধন এসে পরিবেশে নজর দেওয়ার আশ্বাস বাবুলের

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন এই অঞ্চলে ছিল হিন্দুস্তান কেবলস এবং চিত্তরঞ্জন রেল কারখানা। দু বছর আগে হিন্দুস্তান কেবলস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে এলাকার অর্থনীতি প্রায় পঙ্গু হয়েছে রেল কারখানা উপরে আঘাত এলে অর্থনীতিকে আর ঘুরে দাঁড়াতে হবে না।

জেলা পরিষদের ক্ষুদ্র শিল্প বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আরমানের বক্তব্য, অনেক ক্ষুদ্র শিল্প এই কারখানার উপর নির্ভর করে।

রাজ্য সরকারের তরফে বেকারদের ঋণ দিয়ে স্বনির্ভরতার উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। কারখানা বন্ধ বা বেসরকারিকরণের পথে হাঁটলে তা ব্যাপক ধাক্কা খাবে।

আসানসোলে সিপিএম সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরীর অভিযোগ,কেবলস কারখানার অভিজ্ঞতা থেকে এলাকার মানুষকে বুঝতে হত। সাংসদের কথায় স্পষ্ট এলাকাকে শ্মশানে পরিণত করতে চাইছেন। বারাবনি তৃণমূল বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ও বাবুল সুপ্রিয় কথা মানেন না বলে জানান।

তিনি বিধানসভা অধিবেশনে প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here