বিসর্জনের পরে খাদিমপুরে দেবী দুর্গা বলাই চন্ডী রূপে পূজিত

0
415

তপন চক্রবর্তী,উত্তর দিনাজপুরঃহ্যাঁ শুনলে তো অবাক হবার মতই ঘটনা।

নিজস্ব চিত্র

শুক্রবার যখন সারা রাজ্যের আম জনতা চারদিন দুর্গাপুজোর শেষে দশমীর বিকালে যখন মাকে চোখের জলে বিসর্জন দেবার জন্য ব্যস্ত,তখন উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম খাদিম পুরের মন্দিরে মা চন্ডীরুপে দুর্গা পূজার শুরু হল।এই মন্দিরে মা দুর্গা চন্ডী রূপে পূজিত হয়।আবার এই দুর্গাকে অনেকেই বলে থাকে মা বলাই চন্ডী।গ্রামের কোন মানুষই সঠিকভাবে বলতে পারেনা এই রেওয়াজ কবে থেকে শুরু হয়েছিল?তবে গ্রামের অনেক বালাই মানুষকেই বলতে শোনা যায় আনুমানিক ৩০০শতাধিক বছরের বেশি ছাড়া কম নয় এই পুজার বয়স।গ্রামবাসীরা জানান মা বলাই চন্ডী দুর্গার সাথে মহিষ ও অসুর থাকেনা।

নিজস্ব চিত্র

হেমতাবাদ ও রায়গঞ্জের গ্রাম বাসীরা অপেক্ষায় দিন গুনতে থাকে কবে দুর্গাপূজার দশমীর দিন আসবে।কারন দশমীর দিন রাতেই মা বলাই চন্ডির মূল রেওয়াজ শুরু হয়ে থাকে।গ্রামবাসীদের মুখেই শোনা যায় দশমীর দিন থেকে সমগ্র খাদিমপুর গ্রামের মানুষ চারদিন ধরে নিরামিষ রান্না করে থাকে।শুক্রবার রাতে মা বলাই চন্ডী পুজার শুরু হয়।পূজা উপলক্ষে এক সপ্তাহ ধরে পূজা প্রাঙ্গনে বিশাল মেলা বসে।মেলায় দূরদূরান্ত থেকে নানান ধরনের দোকানিরা তাদের দোকানে পসরা সাজিয়ে বসে।দেখা যায় খাদিমপুর গ্রামে একটি বিশাল আকারের গাছের তলায় টিনের চাল দেওয়া আকারে ছোট্ট একটি মন্দিরে এই জাগ্রত দেবী বলাই চন্ডির ওয়াজ হয়ে থাকে।জানা যায় হেমতাবাদ ব্লকের কমলাবাড়ী হাটের মাঝ দিয়ে এক থেকে দেড় কিলোমিটার পথ পেরোলেই এই মন্দিরের দেখা মিলবে।জানা যায় মায়ের সারা বছরের খরচ মেটানোর জন্য মায়ের নামে পাঁচ বিঘা জমি থেকে যা আয় হয় সেই দিয়েই মায়ের রোজকার খরচ মেটানো হয়ে থাকে।শুধু রায়গঞ্জ বা হেমতাবাদ নয় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভক্ত প্রাণা মানুষ আসেন মায়ের কাছে মানত করতে।আবার মনবাসনা পূরণ হলে দূর দূরান্ত স্থান থেকে মায়ের মন্দিরে ভক্তরা এসে মানত দিয়ে যান।এই পুজা দেখবার জন্য গতকাল শুক্রবার থেকেই মানুষের ঢল নামে মন্দির প্রাঙ্গনে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here