মনিরুল হক, তুফানগঞ্জঃ একদিনের বৃষ্টির জেরে তুফানগঞ্জ শহর ঘেষা উল্লারখেয়া ঘাটপাড়ে রায়ডাক নদীর ওপর থাকা অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো ভেঙে পরায় সমস্যায় নিত্যযাত্রী সহ সাধারণ মানুষ। এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে বক্সিরহাট, লাউকুঠি, রামপুর, ফলিমারি, বাশরাজা এলাকার প্রচুর মানুষ বিভিন্ন দরকারে তুফানগঞ্জ শহরে এসে থাকেন।
সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় প্রায় ত্রিশ কিলোমিটার ঘুর পথে তুফানগঞ্জ শহরে আসতে হচ্ছে বলে সাধারণ মানুষের থেকে জানা গিয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় প্রবল বৃষ্টিতে নদীতে জল বাড়ে। জলের প্রবল বেগে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে যায় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে ভেঙে যাওয়া বাঁশের সাঁকোটি অবিলম্বে সারাইয়ের দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।
বাঁশের সাঁকো ভেঙে পরায় দুশ্চিন্তায় তুফানগঞ্জ ১ এবং ২ ব্লকের কয়েক হাজার বাসিন্দা। ওই বাঁশের সেতুর পাশেই একটি কংক্রিটের পাকা সেতু নির্মান করার কাজ অনেকদিন আগে থেকেই শুরু হয়েছে। কিন্তু সেতু নির্মাণের কাজ খুব ধীর গতিতে চলছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে পরায় চিন্তিত সাধারণ মানুষ। বর্তমানে ভরা মরশুমে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা একটি মাত্র নৌকা। প্রানের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করতে হচ্ছে বলে অনেকেই জানিয়েছেন।
এলাকার বাসিন্দা অবিরাম দাস বলেন, তুফানগঞ্জ ১ ব্লক ও ২ ব্লকের প্রায় কুড়ি হাজার লোক এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে। সকলকে তুফানগঞ্জ শহরে আসতে হয় বিভিন্ন কাজে। সকালের দিকে নৌকা দিয়ে কোনভাবে যাতায়াত করতে পারলেও রাত নয়টার পর সমস্যা হয়। সেই সময় নৌকাটিও থাকেনা ।ওপারের কোন রোগীদের তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে বড় সমস্যা। ত্রিশ কিলোমিটার ঘুর পথে নিয়ে যেতে হবে। এক সময় অপচয় অন্যদিকে রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হোয়ে যাবে। আর পাকা সেতুর কাজ ধীর গতিতে চলছে। আমরা চাই খুব তাড়াতাড়ি অস্থায়ী বাঁশের সাঁকোটি বানানো হোক।
এই বিষয়ে তুফানগঞ্জ ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জগদীশ বর্মন বলেন, “বিষয়টি আমাকে কেও এখনও জানায়নি। বৃষ্টির জলে তোড়ে হয়তো ভেঙ্গে পরেছে। উল্লারখেয়ে ঘাটপার এলাকায় ঘাটিয়াল আছে। কি করছে জানিনা। আমি অফিসে গিয়ে খোঁজ নিব এবং বিষয়টি দেখব।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584