নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
মুক্তমনা ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করল আদালত। মঙ্গলবার, এই মামলায় পাঁচ দোষীকে ফাঁসির সাজা শোনালেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারক মজিবুর রহমান।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে নিয়ে ঢাকা বইমেলা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন অভিজিৎ রায়। সেই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে তাঁকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করে মৌলবাদীরা।
আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরই মৃত্যু হয় তাঁর। হামলাকারীদের ঠেকাতে গিয়ে মারাত্মক জখম হন তাঁর স্ত্রীও। ঘটনার পরের দিন নিহত ব্লগার অভিজিতের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুনঃ ২০১৬ দেশদ্রোহিতা মামলায় কানহাইয়া উমর-সহ ১০ জনকে সমন দিল্লি হাইকোর্টের
এই ঘটনার চার বছর পর ১৩ মার্চ ২০২০, ছ’জনকে আসামী সাব্যস্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন এই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক ও পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। সেই চার্জশিটের ভিত্তিতে মার্কিন নাগরিক অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে খুনের মামলায় ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করে আদালত।
দীর্ঘদিন ধরে চলা মামলা শেষে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারক মজিবুর রহমান সরকার ও আসামী পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন ১৬ ফেব্রুয়ারি। সেই মতো আজ সাজা ঘোষণা করে আদালত।
আরও পড়ুনঃ দীনেশ ত্রিবেদীর পদত্যাগ প্রক্রিয়া নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ সুখেন্দু শেখর রায়ের
ছয় হত্যাকারীর মধ্যে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক ওরফে জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে।
উগ্রপন্থায় বিশ্বাসী ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দোষীদের একই সঙ্গে জরিমানাও ধার্য করেছেন বিচারক। সাজা ঘোষণার কারণে বিশেষভাবে জোরদার করা হয়েছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584