পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ
রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের চেকের সই জাল করে আড়াই লক্ষ টাকা তোলার চেষ্টা করলেন তার দফতরেরই এক চতুর্থ শ্রেনীর কর্মী সঞ্জয় বর্মন।মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।এই ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেডিকেল কলেজ চত্বরে।
শুক্রবার মেডিক্যাল কলেজের চতুর্থ শ্রেনির কর্মী সঞ্জয় বর্মন তিনটি চেক নিয়ে কলেজ পাড়া ষ্টেট ব্যাঙ্কে যান।চেকের মাধ্যমে আড়াই লক্ষ টাকা তোলার জন্য ব্যাঙ্কে চেক জমা দেন।
ব্যাঙ্ক কর্মীদের অধ্যক্ষের সই দেখে সন্দেহ হয়।ব্যাঙ্ক থেকে অধ্যক্ষকে ফোন করে টাকা তোলার কথা জানতে চান।অধ্যক্ষ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেন তিনি এই বিশাল পরিমান টাকা তোলার জন্য কোন চেকে সই করেন নি।ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সেই চেক গুলি আটকে দেন।বেগতিক বুঝে মেডিক্যাল কলেজের কর্মী সেখান থেকে গা ঢাকা দেন।
আরও পড়ুনঃ “ডিজিটাল ইন্ডিয়া” জালচক্রের পান্ডা গ্রেফতার
অধ্যক্ষ এই ঘটনা জানার পরই রায়গঞ্জ থানার চেক বই থেকে তিনটি উধাও এর অভিযোগ দায়ের করেন।পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা শুরু করেছে।তদন্ত শুরু করেছে।ঘটনার পর থেকে দফতরে আসছেন না অভিযুক্ত সঞ্জয় বর্মন।সঞ্জয়ের বাড়ি রায়গঞ্জ থানার মহারাজা গ্রামে।
চলতি বছরেই সে এই পদে নিয়োগপত্র পেয়েছেন।সঞ্জয়ের দাদা নব বর্মনের অভিযোগ আট লক্ষ টাকা দিয়ে সে এই চাকরি পেয়েছেন।ধার করে এই টাকা নিয়েছেন।
পাওয়ানাদাররা প্রতিদিন টাকার জন্য তদ্বিবির করেন।এছাড়াও বোন, মা অসুস্থতার জন্য মোটা টাকা খরচ করেছে সঞ্জয়।দেনা মেটাতেই এই অন্যায়ের পথ বেছে নিয়েছিলেন।ঘটনার পর বাড়িতে এসে মায়ের কাছে ঘটনার কথা কবুল করেছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584