নিউটাউনে আইনজীবী খুনে দোষী অনিন্দিতার যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা বারাসত আদালতের

0
115

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

প্রত্যক্ষ তথ্যপ্রমাণ বলতে প্রায় কিছুই ছিল না। তা সত্ত্বেও ইলেকট্রনিক ও ডিজিটাল তথ্য প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে নিউটাউনে আইনজীবী রজত দে খুনে স্ত্রী অনিন্দিতাকে দোষী সাব্যস্ত করার পর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করল বারাসত আদালত। বুধবার ওই আদালতে বিচারক সুজিত কুমার ঝা এই সাজা ঘোষণা করেন।

Anindita Dey | newsfront.co
অনিন্দিতা দে

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বরে নিউটাউনের ডিবি ব্লকের একটি ফ্ল্যাটে অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হয় আইনজীবী রজত দে-র। গলায় মোবাইল চার্জারের তার পেঁচিয়ে খুন করা হলেও কে খুন করেছে, তার কোনও প্রমাণই জোগাড় করতে পারেনি পুলি়শ। স্ত্রী অনিন্দিতা পুলিশকে জানান, খাট থেকে পড়ে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক করে তিনি মারা গিয়েছেন। সরাসরি কোনওদিনই তিনি খুনের কথা স্বীকার করতে চাননি। তবে স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ার জন্যই ওই আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত ছিলেন তদন্তকারীরা।

কিন্তু সরকারি আইনজীবীর বিভাস চট্টোপাধ্যায়ের মতে, এই মামলায় ডিজিটাল তথ্য-প্রমাণ, যেমন ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। মামলার শুনানিতে আদালতে পুলিশ দাবি করে, কীভাবে খুন করলে তথ্য-প্রমাণ থাকে না, তা গুগলে সার্চ করেছিলেন অনিন্দিতা। তাছাড়াও তার ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপে স্ট্যাটাস দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। তারপরেই ডিজিটাল তদন্তে একাধিক তথ্য-প্রমাণ হাতে আসে পুলিশের। ওই সমস্ত তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখেই খুন (৩০২) ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের (২০১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয় অনিন্দিতা পাল।

এদিন বিচারক জানান, অনিন্দিতার বয়স কম তাছাড়া তার তিন বছরের বাচ্চা আছে, তাই ফাঁসি দেওয়া হল না। তাকে সংশোধনের আরেকটা সুযোগ দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হল।’ যদিও প্রিজনভ্যানে ওঠার সময় আদালত চত্বরে দাঁড়িয়েই অনিন্দিতা বলেন, ‘আমি আমার ন্যায় বিচারের জন্য শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়বো।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here