নিজস্ব সংবাদদাতা, স্পোর্টস ডেস্কঃ
মাথা নিচু ঈশ্বরের। পতন বার্সা সাম্রাজ্যের, ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের মারাকানার সেমিফাইনাল ফিরে এল। সেদিন ৭-১ গোলের চুনকালি মেখেছিল ব্রাজিল। এদিন ৮ – ২ গোলের মালা পড়ল বার্সা। প্রতিপক্ষ দুটো দলের ক্ষেত্রেই সেই জার্মানরা। ম্যাচদাভিদ লুইজদের ডিফেন্সকে কার্যত ছারখার করে দিয়েছিলেন জার্মানরা। গোটা ফুটবল বিশ্বের সামনে দর্পচূর্ণ হল বার্সেলোনার। মেসিদের নিয়ে ছেলেখেলা করলো মুলার–কুটিনহোরা।
এদিন খেলার শুরু থেকেই ব্যাক ফুটে চলে যায় বার্সা। তাঁদের ডিফেন্সের সঙ্গে কলকাতার বারাসাত ক্লাবের ডিফেন্সের কোনো পার্থক্য ছিল না। বায়ার্নের খেলোয়াড়দের কোনওভাবেই আটকাতে পারছিলেন না ভিদালরা। খেলা শুরুর মাত্র ৪ মিনিটের মাথায় টমাস মুলারের গোলে শাপমুক্তি ঘটে বায়ার্নের।
মুলার ফের প্রমান করলেন বয়স একটা সংখ্যা মাত্র, যদিও তিন মিনিট পর আত্মঘাতী গোল করে বার্সাকে সমতায় ফিরতে সাহায্য করেন আলাবা। কিন্তু তারপর যেন হিংস্র হয়ে ওঠে বার্য়ান। এক একটা আক্রমণে বার্সাকে ঝাঁজরা করে দেয় তারা। ২১ মিনিটে পেরিসিচ, ২৭ মিনিটে গ্যানাবরি, ৩১ মিনিটে মুলার গোল করেন।
প্রথমার্ধেরর শেষ চার গোল দিয়ে দিয়ে ছিল তারা। দ্বিতীয়ার্ধেও বজায় ছিল বায়ার্নের দাদাগিরি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই একটি গোল শোধ করে দেন সুয়ারেজ। ওটাই শেষ গোল তাঁদের। ফের চললো বার্য়ান বর্ষণ। ৬৩ মিনিটে কিমিচ এবং ৮২ মিনিটে লেওয়ানডস্কি ব্যবধান বাড়ান। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে মাঠে নামা কুটিনহো ৮৫ এবং ৮৯ মিনিটে জোড়া গোল করেন।
আরও পড়ুনঃ আই লীগ, দ্বিতীয় ডিভিশন দুটোই কলকাতায় জানাল ফেডারেশন
এদিন মাঠে পুরো বির্ধস্ত লাগলো মেসিকে। দেশের জার্সির মতো ক্লাব জার্সিতেও জার্মানদের হাতে বধ হতে হল তাকে। দলের ভরাডুবিতে চাকরি যেতে পারে বার্সা কোচের। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমিতে বার্য়ান। এই ফুটবল খেললে তাঁদের যে কেউ চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয় আটকাতে পারবে না সেটা স্পষ্ট।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584