পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ
বোনকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় দাদা সহ পরিবারের সদস্যদের মারধরের পাশাপাশি বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তিন যুবকের বিরুদ্ধে।

ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে করনদিঘী থানার কুড়িগাঁও গ্রামে।গুরুতর জখম অবস্থায় দাদা বৌদি ও মামা রায়গঞ্জ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার বিবরণ জানিয়ে করনদিঘী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ওই তিন ইভটিজারের বিরুদ্ধে।ঘটনার তদন্তে নেমেছে করনদিঘী থানার পুলিশ।

পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, করনদিঘী থানার কুড়িগাঁও গ্রামের বাসিন্দা দুলাল হকের বোন সাইনারা খাতুন।তাকে পাশের গ্রাম মহনপুরের তিন যুবক প্রতিনিয়ত অশ্লীল কথা বলতো বলে অভিযোগ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বোন সাইনারা খাতুন ও বৌদি সাবিনা খাতুন বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে গল্প করছিল। সেই সময় ওই তিন যুবক মোটর বাইকে করে এসে বোনকে দেখে অশ্লীল কথা বলে।সেই সময় পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল দাদা দুলাল হক।বোনকে অশ্লীল কথা বলায় দাদা প্রতিবাদ করে।
আরও পড়ুনঃ নিজের দাদুর বিকৃত যৌনতার শিকার নাবালিকা
পাশাপাশি তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টাও করে।শুরু হয় তাদের মধ্যে বচসা।তাদের বাকবিতন্ডায় আশপাশ থেকে আসে গ্রামের মানুষেরা।গ্রামবাসীরা ওই তিন যুবক কে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়।
কিছুক্ষন পর ওই তিন যুবক তাদের গ্রামের মানুষদেরকে ডেকে নিয়ে এসে দুলাল হককে মারধর করতে থাকলে দাদাকে বাঁচাতে বোন,বৌদি ও অন্যান্য পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসে।সেই সময় পরিবারের লোকেদেরও মারধর করে বলে অভিযোগ।
পাশাপাশি ওই তিন যুবক ও তার লোকজনেরা দুলালদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে চলে যায়।এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
মারধরের ফলে গুরুতর আহত হয় পরিবারের ৬-৭ জন।গ্রামবাসীরা আহতদের প্রথমে করনদিঘী গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে আসে।
তাদের মধ্যে দুলাল হক,বোন সাইনারা খাতুন, বৌদি সাবিনা খাতুন ও মামা আব্দুল হক ওই চারজনের অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাদেরকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে করনদিঘী থানার পুলিশ।
ওই ঘটনায় দুলালের পরিবারের পক্ষ থেকে করনদিঘী থানায় ওই তিন যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।ওই তিন যুবকের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584