হাসপাতালে নিরাপত্তা রক্ষীকে মারধোর,আটক ১

0
48

নিজস্ব সংবাদদাতা,কোচবিহারঃ

beat up to the hospital security | newsfront.co
আক্রান্ত।নিজস্ব চিত্র

ডাক্তার নিগ্রহের পর এবার আক্রান্ত হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষী।আক্রান্ত ওই নিরাপত্তা রক্ষীর নাম বঙ্কিম বর্মণ।মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অন্তর্গত মাতৃমায় কর্মরত নিরাপত্তা রক্ষী উপর চরাও হয় রোগীর পরিজনেরা।

beat up to the hospital security | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

ওই ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।ওই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে কোচবিহার কোতওয়ালি থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ এক রোগীর পরিজনকে আটক করেছে বলে জানা গিয়েছে।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

beat up to the hospital security | newsfront.co
ডাঃ রাজীব প্রসাদ।নিজস্ব চিত্র

আক্রান্ত নিরাপত্তা রক্ষীর অভিযোগ, “আমি সকালে ৮টার সময় কাজে যোগ দেই। আমাদের ভিজিটিং আওয়ার্সে সকাল ১১টা থেকে ১২ টা ও বিকেলে ৫ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত।কিন্তু এক মহিলা ১০টা নাগাদ ভিতরে যাওয়ার জন্য জোর করতে থাকে। ওনাকে বার বার সেখান থেকে সরতে বলা হলেও তিনি সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকেন।কিছুক্ষন বাদে ডাক্তার এলে গেট খুলতেই ওই মহিলা জোর পূর্বক ভিতরে ঢুকতে চেষ্টা করে।

আরও পড়ুনঃ নিরাপত্তা রক্ষীর সার্ভিস রিভালবারের গুলিতে মৃত্যু সাফাইকর্মীর

তাকে ভিতরে যেতে না দেওয়ার জন্য কয়েকজন ছেলে গেটের সামনে এসে গালিগালাজ করতে থাকে। তাদের মধ্যে একজন গেটের বাইরে থেকেই আমার হাত ধরে টেনে বাইরে বের করতে নেয়। এরপর আমার বুকের মধ্যে ঘুষি মারে।পরে দেওয়াল গায়ে আমার মাথা ধরে ধাক্কা দেয়।

তাতে আমার মাথায় আঘাত লাগে।সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মেডিক্যাল সুপার।চিৎকার চেঁচামেচি শুনে তিনি এসে পুলিশকে ফোন করেন।পরে পুলিশ এসে রোগীর এক পরিজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।”

বঙ্কিমের আরও অভিযোগ, “পুলিশ ওই যুবককে নিয়ে যাওয়ার পর বেশ কয়েকজন এসে আমায় হুমকি শুরে বলে আমি যদি পুলিশের কাছ থেকে ওই ছেলেটিকে ছাড়িয়ে না আনি তাহলে নাকি এখান থেকে বাড়ি যেতে পারবনা।”

এই বিষয়ে কোচবিহার মেডিক্যাল সুপার ডঃ রাজীব প্রসাদ বলেন, “হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীরা তাদের নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করছিল।কিন্তু একজন মহিলা এসে সময়ের আগে রোগী দেখতে যাওয়ার জন্য জোর করে।তাকে বাঁধা দিলে আমার গেটের কর্মীকে হুমকি ও মারধোর করে।

আমি পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে একজনকে আটক করে নিয়ে যায়।আমি হাসপাতালের পক্ষ থেকেও থানায় একটি অভিযোগ করেছি।”

পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আরও নিরাপত্তা রক্ষীর দরকার আছে।বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here