ছেলেধরা সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে মারধর

0
37

পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
ছেলে ধরা সন্দেহে বৃদ্ধ মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটি থানার রনহা গ্রামে। সোমবার সকাল ১১ টা নাগাদ গ্রামের মানুষরা দেখে এক মহিলা এক বাচ্চা শিশুকে চকলেট দেবার চেষ্টা করছে।সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। কিন্তু মহিলা কোন প্রকার সদুত্তর দিতে না পারায় তাকে একটি স্থানীয় ক্লাবে আটকে রাখে।এরপর খবর দেওয়া হয় নোয়াপুর পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশ এসে মহিলা কে উদ্ধারের চেষ্টা করলে ক্ষিপ্ত জনতা মহিলাকে নিয়ে যেতে বাধা দেয়।পুলিশের কাছে দাবি করে ওই মহিলা কে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে নচেৎ তারা পথ অবরোধ করবে।সেই সময় পুলিশের সংখ্যা কম থাকায় তারা কোন প্রকারে বৃদ্ধ মহিলাকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি প্রাথমিক স্কুলে আশ্রয় দেয়। পুলিশের তরফে বারবার উত্তেজিত জনতাদের বোঝানোর চেষ্টা করে ওই মহিলাকে আইনের হাতে তুলে দেবার জন্য।
এলাকাবাসী কোনমতেই পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা না করে,উল্টে বারবার দাবি করতে থাকে ওই মহিলাকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান নলহাটি ২ এর বিডিও রাজদীপ শংকর গৌতম তিনিও এলাকার মানুষদের বোঝানোর চেষ্টা করেন কিন্তু কোনভাবেই উত্তেজিত জনতা কে বুঝাতে সক্ষম হননি।ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নলহাটি থানা থেকে আসা বিশাল পুলিশবাহিনী।এরপরও পুলিশের তরফে অনেকভাবেই প্রচেষ্টা হয় মহিলাকে উদ্ধারের জন্য।অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করে পরে উত্তেজিত জনতা কে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়।বিডিও রাজদীপ শংকর গৌতম জানান দু ঘন্টা ধরে ওখানকার মানুষদের বোঝানোর চেষ্টা করা হয় আইন নিজের হাতে না তুলে নেবার জন্য কিন্তু কোনভাবেই উত্তেজিত জনতা কে প্রতিহত করা যাচ্ছিল না বাধ্য হয়েই পুলিশ লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেয়।
যদিও বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার শ্যাম সিং জানান ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে নলহাটি থানার পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পরে মহিলা কে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। মহিলাকে নলহাটি থানায় আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে।মহিলা জানিয়েছে তার নাম মিনা দেওয়া,বাড়ি মুর্শিদাবাদের পলসন্ডা গ্রামে।

আরও পড়ুনঃ ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি

নলহাটি থানার পুলিশ মহিলার বক্তব্য খতিয়ে দেখছে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশের মতামত খুব সম্ভবত মহিলাটি মানসিক ভারসাম্যহীন।স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি যেহেতু চারিদিকে ছেলে ধরা কথা শোনা যাচ্ছে তাই ওই মহিলাটি কে দেখে ছেলে ধরা সন্দেহ হয়।যদিও পুলিশের হাতে ওই মহিলাকে কেন গ্রামবাসীরা তুলে দিতে চাইনি তার কোনো সদুত্তর গ্রামবাসীরা দিতে পারেনি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here