ওয়েব ডেস্ক, নিউজ ফ্রন্টঃ
বছর দুয়েক আগে করোনা ভাইরাস প্রথম থাবা বসিয়েছিল চীনের উহান প্রদেশে। তারপর ধীরে ধীরে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এই মারণ ভাইরাস। তবে চিন-ই একমাত্র দেশ, যে দ্রুত এই সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পায়। কিন্তু ২০২১-এর অক্টোবরে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। রক্তচক্ষু নিয়ে আবারও চিনের একাধিক প্রদেশে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। তাই এবার পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে চিন।
চিনের রাজধানী বেজিং-এ চোখ রাঙাচ্ছে করোনার ডেল্টা প্রজাতি। ফ্রান্সের স্বাস্থ্যকর্তারা মনে করছেন, এই ডেল্টা প্রজাতির কারণেই দ্রুত গতিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই ফের মানুষকে গৃহবন্দি করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সে দেশের সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার চিন সরকার বন্ধ করল বেজিং-এর একটি শপিং মল, বন্ধ করা হয়েছে একাধিক আবাসনও। ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বহু স্কুল ও অফিসও। জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। চিনের একাধিক শহরে লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গতকাল বেজিং-এর কেন্দ্রস্থল চাওয়াং ও হাইদিয়ানে নতুন করে ৬টি করোনা সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। আর তাতেই কড়াকড়ি শুরু করেছে সে দেশের সরকার। বেজিংয়ের ‘রাফলস সিটি’ শপিং মলটি বন্ধ করার সময় মলের মধ্যে যেসব কর্মী এবং ক্রেতারা ছিলেন, তাঁদের আপাতত আলাদাভাবে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অসমে ছটপুজো সেরে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত ৯
প্রশাসন জানিয়েছে, করোনা টেস্টের ফল না আসা পর্যন্ত তাঁদের ছাড়া হবে না। সব ক্রেতা ও কর্মীদের করোনা পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। জানা যায়, করোনা সংক্রমিতের সংস্পর্শে আসা এক ব্যক্তি ওই মলে এসেছিলেন সেইদিন। আর এই খবর কানে আসতেই মাথাচাড়া দিয়ে বসে প্রশাসন।
আরও পড়ুনঃ অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় ভূখন্ডে গ্রাম তৈরি করেছে চিন, দাবি পেন্টাগনের
প্রসঙ্গত, শুধু চিন নয়, করোনা সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়িয়েছে ফ্রান্সেও। ফ্রান্সে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে মহামারীর পঞ্চম ঢেউ। ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভার ভেরন জানান, করোনার পঞ্চম ঢেউয়ের কারণে শুরু হয়েছে নতুন দুশ্চিন্তার। অক্টোবর থেকেই সংক্রমণ লাগাতার বেড়েই চলেছে। ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রক অনুযায়ী, গত বুধবার সে দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৮৮৩ জন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584