নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
রাত পেরোলেই মহালয়া। আর তার আগে আজ মঙ্গলবার কোভিড পরিস্থিতিতে কীভাবে দুর্গাপুজো হবে, তা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। নবান্নের তরফ থেকে ১১ দফার ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে যে, এবারও কার্নিভাল হবে না। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপরও। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ভিড় এড়াতে মন্ডপ হবে খোলামেলা। এছাড়াও, স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য একাধিক বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুর্গাপুজো কীভাবে হবে, তা নিয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী নির্দেশিকায় আরও ১১টি বিষয় উল্লেখ করেছেন। সেগুলি হল :
১) মন্ডপ করতে হবে খোলামেলা। যাতে বাইরে থেকেই দর্শনার্থীরা মা দুর্গাকে দর্শন করতে পারেন। মন্ডপে প্রবেশ ও বেরনোর পথ আলাদা করতে হবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মণ্ডপে যথেষ্ট জায়গা রাখতে হবে।
২) মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক।
৩) যত বেশি সম্ভব স্বেচ্ছাসেবক মণ্ডপে রাখতে হবে। নিজেদের সুবিধার্থে পুজো কমিটির সদস্যদের ফেস শিল্ড, মাস্ক, স্যানিটাইজার অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে তাঁদেরও। পুজোর সময় অঞ্জলি, সিঁদুরখেলা বা দেবীবরণের মতো রীতিনীতি পালন করা যাবে। তবে তা করতে হবে ছোট ছোট দলে।পুজো কমিটিগুলোকে এ বিষয়ে সঠিক পরিকল্পনা করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সুষ্ঠুভাবে এই রীতিনীতি পালনের ব্যবস্থা করতে হবে। মন্ত্রোচ্চারণের সময় পুরোহিতদের মাইক্রোফোন ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাতে দূর থেকে সেই মন্ত্র শুনতে পান দর্শনার্থীরা। অঞ্জলির ফুল বাড়ি থেকে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৪) মন্ডপ চত্বরে কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।
৫) পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে বিচারকরা ভিড় করে মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩ পর্যন্ত সর্বোচ্চ দু’টি গাড়ি নিয়ে মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন বিচারকরা।
৬) মন্ডপে যাতে ভিড় না হয়, সেই কারণে পুজো কমিটিগুলিকে বৈদ্যুতিন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার প্রচারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৭) পুজো উদ্বোধন ও বিসর্জন জাঁকজমকভাবে করা যাবে না। উদ্বোধন ভার্চুয়ালিও করা যেতে পারে। নদী বা পুকুরে বিসর্জনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হবে। সেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই প্রতিমা নিরঞ্জন করতে হবে। মণ্ডপ থেকে প্রতিমা সরাসরি ঘাটে আনতে হবে। অতিপ্রয়োজন ছাড়া মাঝে অন্য কোথাও দাঁড়ানো চলবে না।
৮) যদি পুজো সংক্রান্ত কোনও অনুমতির প্রয়োজন হয়, তবে তা অনলাইনেই নিতে হবে।
৯) এবছরও রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কার্নিভালের আয়োজন করা হচ্ছে না।
১০) ভিড় কমানোর জন্য তৃতীয়া থেকেই দর্শনার্থীদের জন্য পুজো মন্ডপগুলি খুলে দেওয়া হবে।
১১) পুজো কমিটিগুলোকে এবারেও ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তরফে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584