মোহনা বিশ্বাস, কলকাতাঃ
করোনা পরিস্থিতির জেরে রাজ্যের স্কুলগুলি দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে। তবে এবার ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে, তাই পুজোর পর রাজ্যের স্কুলগুলি খোলার চিন্তাভাবনা চলছে। চলতি বছরের অগাস্টেই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, পুজোর পর এক দিন অন্তর স্কুল-কলেজ খোলা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে।
এরপরই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। সেইমতো পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল মেরামতির জন্য ১০৯ কোটি টাকার প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্যপাল। এই অর্থের সহায়তায় রাজ্যের ৬ হাজার ৪৬৮টি স্কুল মেরামতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্কুল মেরামতের জন্য কত টাকা লাগবে, সে ব্যাপারে জেলাশাসকদের খরচের তালিকা পাঠাতে বলেছিল বিকাশ ভবন। ১৫ সেপ্টেম্বর সেই তালিকা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল। ইতিমধ্যেই সেই তালিকা বিকাশ ভবনের হাতে এসেছে। এরপরই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হল সরকারের তরফ থেকে।
আরও পড়ুনঃ ডাক্তারি পড়তে নিট-এর বিরোধিতায় সমর্থন চেয়ে মমতাকে চিঠি স্ট্যালিনের
গত সেপ্টেম্বর মাসেই ত্রিপুরায় খুলে গেছে স্কুল। ক্লাসও হচ্ছে নিয়মিত। তবে স্কুলে ভিড় এড়াতে, প্রত্যেকটা ক্লাসকে দু’ভাগে ভাগ করে পড়াশোনা চলছে ত্রিপুরার স্কুলগুলিতে। এই প্রেক্ষাপটে, এরাজ্যেও স্কুল খোলার দাবি জানাচ্ছেন শিক্ষাবিদরা।
আরও পড়ুনঃ বিদেশে লগ্নী করে কর ফাঁকি, ‘প্যান্ডোরা পেপার্স’-এ নাম সচিন তেন্ডুলকর ও ৬ রাজনীতিবিদের
প্রসঙ্গত, অগাস্টে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, “পুজোর পরই স্কুল খোলার চিন্তাভাবনা চলছে। পুরো স্কুল স্যানিটাইজ করে তারপরই খোলা হবে স্কুলের দরজা। তবে যদি করোনার তৃতীয় ঢেউ না আসে, তবেই এহেন ব্যবস্থা করা হবে। কিংবা তৃতীয় ঢেউ যদি ভয়ঙ্কর না হয় তবেই স্কুল খোলা হবে। যদিও সবটাই পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। এখন বাংলার অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। করোনা সংক্রমণের হার ১ শতাংশের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। ফলে এখনকার পরিস্থিতি অনুযায়ী কোভিড বিধি মেনে স্কুল খোলা যেতে পরে। তবে পরে কি হবে তা জানা নেই।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584