নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
কর্ণাটক হাইকোর্টে এখনো নিষ্পত্তি হয়নি হিজাব মামলার, তবে ১০ ফেব্রুয়ারি একটি অন্তর্বর্তী নির্দেশে আদালত বলে গেরুয়া শাল, হিজাব, যেকোন ধরণের ধর্মীয় ফ্ল্যাগ বা ঐ জাতীয় কিছুই আপাতত ক্লাসে ব্যবহার করতে পারবে না পড়ুয়ারা। এই নির্দেশের বলেই বেঙ্গালুরুর মাউন্ট কারমেল কলেজ ১৭ বছর বয়সী অমৃতধারী শিখ সম্প্রদায়ের এক ছাত্রীকে জানায় ক্লাসে প্রবেশ করতে গেলে খুলতে হবে পাগড়ী। জাতীয় স্তরের সংবাদ মাধ্যম ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’-র প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে এই ঘটনা।
ছাত্রীর বাবা গুরচরণ সিং জানিয়েছেন কলেজের এই আচরণে তিনি ও তাঁর পরিবার কার্যত স্তম্ভিত। পাশাপাশি কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন হাইকোর্টের নির্দেশ মানতে তাঁরা দায়বদ্ধ। তবে কখনোই কোন পড়ুয়াকে তাঁরা ক্লাস থেকে বের করে দেননি। জানা গিয়েছে উলসুরের শ্রী গুরু সিং সভা কর্তৃপক্ষকে এই ঘটনার কথা চিঠি লিখে জানিয়েছেন ঐ ছাত্রীর বাবা। তাঁর দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁর মেয়েকে বলে, একমাত্র পাগড়ী খুলেই সে ক্লাসে যেতে পারবে। কিন্তু অমৃতধারী শিখ হিসাবে কলেজের এই কথা মানতে পারেননি তাঁর মেয়ে। তিনি এও জানিয়েছেন যে, তাঁর মেয়ে ঐ কলেজের স্টুডেন্ট ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুনঃ মধ্যরাতে সামরিক অভিযানের ঘোষণা পুতিনের, ইউক্রেন বিষয়ে জরুরী অধিবেশন রাষ্ট্রপুঞ্জে
ছাত্রীর বাবার দাবি, কর্ণাটক সরকারকে এই বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা দিতে হবে। তিনি বলেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ সেদিন মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব খুলে ক্লাসে যাওয়ার কথা বলছিলেন তারপরেই তার মেয়েকে বলা হয় মাথার পাগড়ি খুলতে, যা গোটা শিখ সম্প্রদায়ের পক্ষে অপমানজনক।
আরও পড়ুনঃ সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব আনিস খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হোমগার্ড কাশীনাথ বেরার স্ত্রী
অন্যদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, পাগড়ী নিয়েও তাঁদের কোন সমস্যা ছিলনা। কিছু ছাত্রী হিজাব পরে আসায় তাঁরা হাইকোর্টের নির্দেশ সম্পর্কে জানান তাঁদের। সেই ছাত্রীরাই দাবি তোলেন সেক্ষেত্রে কোন ছাত্রীকেই ধর্মীয় চিহ্ন সহ ক্লাস করতে দেওয়া যাবে না, এমন কি পাগড়ী পরা শিখ ছাত্রীদেরও নয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ আরও বলেন যে, ঐ ছাত্রীর বাবার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন, মেল ও করেছেন গোটা বিষয় জানিয়ে। হাইকোর্টের নির্দেশ সম্পর্কে জানানোও হয়েছে এবং তা মেনে চলতেই বলেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584