নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
বিজেপির এমএলএ অরবিন্দ লিম্বাভালি রবিবার টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ভিডিওতে দেখা গেছে উত্তর বেঙ্গালুরুর করিয়াম্মানা আগ্রাহারা এলাকায় প্রায় কয়েক হাজার বস্তি ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অরবিন্দ লিম্ভাভলি দাবি করেছেন এই বস্তি এলাকায় হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা বেআইনি ভাবে বাস করছিল। তাই তাদের উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়।
জানা গেছে যে বস্তি উচ্ছেদের তিনদিন আগেই এলাকায় বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা ও জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ওই বস্তিতে বসবাসকারী বাসিন্দাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল অসম, উত্তর কর্নাটক আর ত্রিপুরা থেকে। এরপর বাসিন্দাদের ওই জায়গা খালি করে দিতে বলা হয় প্রশাসনের তরফে।
Few people have taken shelter under illegally constructed sheds located in Kariyammana Agrahara of Bellanduru which is within the jurisdiction of our Mahadevapura Assembly constituency. 1/3 pic.twitter.com/WjvmWlSE55
— Aravind Limbavali (@ArvindLBJP) January 12, 2020
বিবিএমপি(ব্রুহাট বেঙ্গালুরু মহানগর পালাইক) একটি আবেদনপত্রে জানিয়েছে যে ওই এলাকায় সহস্রাধিক বাংলাদেশি বেআইনি ভাবে বসতি স্থাপন করে একটি বস্তি গড়ে তুলেছে, যা পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের অসুবিধার কারণ হয়ে উঠেছে। এই নিয়ে এলাকার বাসিন্দারা পুরসভাতে অভিযোগপত্রও জমা করেছেন।
Several sheds in Kariyammana Agrahara near Marathahalli demolished, migrants from Assam, Tripura, some from North Karnataka allegedly asked to vacate.
Police had issued notice to the owners of the land on Jan 11 saying there were illegal Bangladeshi immigrants in pic.twitter.com/bpvPaxOcsU
— Revathi Rajeevan (@RevathiRajeevan) January 19, 2020
মারাথল্লির কাছে করিয়াম্মানা আগ্রাহারা এলাকার বেশিরভাগ অনুপ্রবেশকারীকেই উৎখাত করে দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। পুলিশ সূত্রে খবর, ১১ জানুয়ারি পুলিশ এলাকার মালিকদের নোটিশ পাঠিয়ে জানিয়েছে যে সেখানে একাধিক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বসবাস শুরু করেছে।
আরও পড়ুনঃ মোদী রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে এনআরসি চালুর কথা ভাবছে, দাবি অনুব্রতর
এদিকে বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড এলাকার ডিসিপি এম এন অনুচেত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর কাছে কোনও খবর ছিল না যে পুলিশ বস্তি উচ্ছেদ করেছে। তিনি আরও বলেন যে ২০১৮ সালের অক্টোবরে ৬০ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। তবে বেআইনিভাবে বসবাসের জন্য তাদের বিতাড়িত করা হয়নি। উপযুক্ত প্রমাণ ও প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে না পারায় তাদের উচ্ছেদ করা হয়।
যদিও সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮-এর তরফে নেওয়া ওই এলাকার কিছু বাসিন্দাদের সাক্ষাৎকারের একটি ভিডিও টুইটারে ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ওই এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, তারা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী না। প্রত্যেকেই ভারতীয়। এই এলাকায় তারা দীর্ঘদিন ধরেই বাস করছে এবং তাদের কাছে প্রয়োজনীয় নথি আছে।
আরও পড়ুনঃ প্রশান্ত অরুন্ধতীর আক্রমণকারী তেজিন্দর বিজেপির প্রার্থী
তারা আরও জানায়, ওই বস্তি এলাকা থেকে তাদের বারবার উঠে যেতে বলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। কিন্তু তারা নিরুপায়। সামান্য দিন আনে, দিন খেয়ে কেটে যায় তাদের দিন। এলাকার পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের কাজের সাহায্য করে থাকে তারা। কাল যদি তাদের এখান থেকে উঠে যেতে হয়, তবে পার্শ্ববর্তী ওই এলাকার বাসিন্দারাই অসুবিধায় পড়বেন।
এই ভিডিওটির বক্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। প্রশাসন এবং বেআইনিভাবে (সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী) বসবাসকারী বাসিন্দাদের মধ্যে কার বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্য, সে নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584