শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
সিদ্ধিদাতা আসতে এখনো দিন তিনেক বাকি। কিন্তু গোটা রাজ্যে বৃহস্পতিবার শুক্রবার সম্পূর্ণ লকডাউন। তাই করোনা আবহে বুধবারই শহরের প্রথম ডিজিটাল গনেশ পুজোর উদ্বোধন হল বিধাননগরের যুবক সংঘ ক্লাবে। উদ্বোধন করলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র বিধাননগরের তাপস চট্টোপাধ্যায় , প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী মদন মিত্র ছিলেন যুবক সংঘ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও স্থানীয় কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।
উদ্যোক্তাদের মতে করোনা আবহে অনেক দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তাই হয়তো তাঁদের এই দেখানো পথ অনুসরণ করবেন। সংক্রমণের আশঙ্কায় আগেকার মতো এখন মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় আর সম্ভব নয়। তাই এখন থেকেই ডিজিটাল রাস্তায় হাঁটতে শুরু করেছে বহু পুজো। আর তার প্রথম শুভ উদ্বোধন করল বিধাননগরের যুবক সংঘ।
ক্লাবের ফেসবুক পেজ “Bidhannagar Ganesh Chaturthi Mahotsav”-এ আগামী ২২ অাগস্ট সরাসরি দেখা যাবে এই গনেশ পুজো। ক্লাবের তরফে নিজস্ব হাতেগোনা কিছু সদস্য ছাড়া আর কাউকে জানানো হবে না আসলে এই পুজো ঠিক কোথায় হচ্ছে। কারণ একবার জেনে গেলে সাধারণ মানুষ ভিড় করবেনই। ফেসবুক পেজের মাধ্যমেই দর্শনার্থীরা নিজের নাম গোত্র রেজিস্টার করে পুজো দিতে পারবেন।সঙ্গে দিতে পারবেন প্রণামী ও করতে পারবেন হোম ডেলিভারির জন্য ভোগের বুকিং। ভোগ বিতরণ করা হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
আরও পড়ুনঃ যাত্রী সুবিধার্থে মেট্রোর নয়া অ্যাপ! থাকছে যাত্রীদের জন্য একাধিক তথ্য
নানীঘর নামের একটি সংস্থা এই ভোগ বিতরণ করবে। ভোগের প্রসাদের সঙ্গে একটি করে মাস্কও পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। যার বিতরণে “নির্ধন” নামের একটি সংস্থা এগিয়ে এসেছে। ‘আমরা যে কোনও শুভ কাজ করি গণেশ বন্দনার মাধ্যমে। আমাদের এই গনেশ পুজো শহরের সবচেয়ে পুরোনো পুজো। এগারো বছর আমরা অতিক্রান্ত করেছি। কিন্তু এই দু:সহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হবো ভাবিনি। তবু ঠিক করলাম পুজো আমরা করবোই।’ বললেন যুবক সংঘের প্রেসিডেন্ট অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ বন্দর শ্রমিকদের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার বিমা ঘোষণা জাহাজ মন্ত্রকের
পুজোর সঙ্গেই ডিজিটাল মাধ্যমেই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছেন উদ্যোক্তারা, যাঁদের মধ্যে উল্লেখ্য হলো গায়ক ঋষি পান্ডার অনুষ্ঠান।
অনিন্দ্য বাবু আরো বলেন, ”ইতিমধ্যেই আমেরিকার নিউ জার্সি স্থিত বাঙালি সংগঠন “সৃষ্টি” এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। “সৃষ্টি”র মাধ্যমে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাঙালি সংগঠনগুলো এই পুজোর আপডেট পেতে থাকবেন। এই ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার ফলে আমাদের পুজো আজ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে। বিশেষ করে আমাদের ক্লাবের পরিবারের অনেক সদস্য যাঁরা বিদেশে থাকেন তাঁরা আমাদের পুজোকে সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে পাবেন। যেটা হয়তো আগে আমাদের করে ওঠা হয়নি।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584