সিমা পুরকাইত,দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ
বিজয়া সম্মিলনীর ডাক দিয়ে বিজেপি’র জেলা সভাপতির পদত্যাগের দাবি তুললেন কয়েক হাজার জেলা বিজেপির নেতা কর্মী।কুল্পি ব্লকের রানি রাসমনি ময়দানে বিজেপি’র কর্মি সর্মথকদের নিয়ে এই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়।
মথুরাপুর ও ডায়মন্ড হারবার দুই লোকসভার ব্লকস্তর সহ জেলা স্তরের নেতাদের নিয়ে চলে সম্মেলন।বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সন্তোষ কুমার সহ কিষান মোর্চার জেলা সভাপতি গৌতম নস্কর,কুল্পি ব্লকের বিজেপি সক্রিয় নেতা হিমাদ্রি শেখর হালদারের নেতৃত্বে এই সম্মেলন আয়োজিত হয়।অভিযোগ বিজেপির দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলা পশ্চিম ভাগের সভাপতি অভিজিৎ দাসের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সভাপতি পদ নিয়ে জেলা জুড়ে দুর্নীতি শুরু করেছে। রাজ্য অথবা কেন্দ্রের নোটিশ ছাড়া ছাঁটাই শুরু করেছে পদে থাকা সক্রিয় নেতা কর্মি সর্মথকদের।যার জেরে এই সম্মেলন।সামনে লোকসভা নির্বাচন। যার ফলে বিক্ষুব্ধ সভাপতির বিরুদ্ধাচারন করে রানি রাসমনি ময়দানে সম্মেলনের আয়জন হয়।উপস্থিত ছিলেন প্রতিটি ব্লকের প্রক্তন মন্ডল সভাপতি সহ সভাপতি।
ছিলেন মন্ডল কমিটির সম্পাদকরা।এদিন বিজেপির রাজ্য সদস্য সন্তোষ কুমার জানান অভিজিৎ দাস ববি বিজেপি দলের নাম করে সিন্ডিকেট গড়েছে।পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃনমূলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রার্থী দেওয়া বন্ধ করেছে।সর্মথকের মার খেলে ফোন বন্ধ করে রাখে যার ফলে সংগঠন নষ্ট হয়েছে।তিনি আরও জানান যারা সংগঠনে প্রকৃত দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতেন আজ তাদের লিখিত অনুমতি ছাড়া তাদের বাদ দিয়ে নিজের তাঁবেদার নতুন মুখ আনছে।লোকসভা নির্বাচনের আগে যদি সভাপতি রদবদল না হয় তাহলে বিজেপি বাংলার এই জেলায় আসা মুশকিল হয়ে যাবে।শুধু তাই নয় টাকার বিনিময়ে অভিজিৎ দাস ববি বিক্রি হয়েছে।যদিও অভিজিৎ দাস ববি তিনি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।তিনি জানান,যেখানে বিজয়া সম্মিলন করছে বিজেপির পতাকায় ওরা সবাই পাগল । বিক্ষুব্ধ করে তাকে সরাতে পারবেনা।
রথযাত্রা নিয়ে ব্যস্ত হলে দাবি করেন তিনি।যারা এই ধরনের কাজ করছে তারা দলের কেউ নন।লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি দলের সর্মথকদের কোন্দলে যে অন্যান্য দল অক্সিজেন পাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584