শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধাননগরঃ
পুজোর আগে কি ঘুরতে শুরু করল পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ? বুধবার সন্ধ্যায় সল্টলেক গোর্খা ভবনের একটি ছবি অন্তত সেদিকেই জানান দিচ্ছে। মদন তামাং হত্যা মামলায় তিন বছর ধরে ফেরার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং আচমকাই এদিন বিকেলে এসে হাজির সল্টলেকের গোর্খা ভবনে।
গোপনে খবর পেয়ে গোর্খা ভবনে ঢোকার মুখেই গাড়ির মধ্যে কালো মাস্ক পরে বসে থাকা অবস্থায় তাকে ক্যামেরাবন্দি করে ফেলেন একাধিক আলোকচিত্রী।
সকলের সামনে পাহাড়ের আরেক নেতা মদন তামাংকে কুপিয়ে কুপিয়ে খুন করা, পাহাড়ে অশান্তি ছড়ানো থেকে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, সাব-ইনস্পেক্টর অমিতাভ মালিক খুনে অভিযুক্ত বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পুজোর শুরুতেই গাড়ির চাকা ফেটে দুর্ঘটনায় অর্জুন সিংয়ের কনভয়
ইউএপিএ আইনের ধারাও রুজু রয়েছে তাঁর নামে। কিন্তু কোনওদিনই তাকে চেষ্টা করেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলি়শ। বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুজোর মুখে পঞ্চমীতে এহেন গুরুংয়ের কলকাতা আবির্ভাব স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুনঃ করোনাজয়ী দিলীপ ঘোষকে খাওয়াদাওয়া করে বাড়িতে থাকার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর
তবে সূত্রের খবর, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন বিমল গুরুং ও রোশন গিরি। এদিন বিকেল ৫ টা নাগাদ একটি সাদা ল্যান্ডরোভার গাড়িতে চেপে গোর্খা ভবনে হাজির হন তিনি। গাড়িতে তাঁর পাশে ছিলেন এক গেরুয়া বসন-রুদ্রাক্ষের মালাধারী সাধু গোছের মানুষ। গাড়ির নম্বর প্লেট ঝাড়খণ্ডের ছিল।
কিন্তু এদিন গোর্খা ভবনে পৌঁছলেও গেটে তালা ঝুলছিল। এক পুলিশ কর্মী ভবনের গেট ধরে ঝাঁকান। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে গাড়ি। কিন্তু গেট না খোলায় গাড়ি ঘুরিয়ে অন্য কোথাও চলে যান গুরুং। পরে অনেক দাঁড়িয়ে থেকেও তাকে আসতে দেখা যায়নি। সেই কারণে তিনি কলকাতার কোথায় আশ্রয় নিলেন, তাও জানা যায়নি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584