প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের ১৬১ তম জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে

0
47

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ

১৮৬১ সালে ২ আগষ্ট অধুনা বাংলাদেশের যশোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের উদ্যোগে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের ১৬১ তম জন্মদিন উপলক্ষে কোভিড বিধিনিষেধ মেনেই বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সোমবার দিনটি ছিল বিজ্ঞান দিবস। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের ১৬১ তম জন্মদিন উপলক্ষে স্মরণ অনুষ্ঠানে তাঁর আবক্ষমূর্তীতে মাল্যদান করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মানস কুমার সান্যাল, সহ উপাচার্য তথা বরিষ্ট অধ্যাপক গৌতম পাল।

Kalyani University
নিজস্ব চিত্র

এদিন উপাচার্য এবং সহ উপাচার্য দুজনেই তাদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও রসায়ন বিভাগের কিছু অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, ল্যাব টেকনিশিয়ান, অফিস কর্মী সহ গবেষকরা মাল্যদান ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

উপস্থিত ছিলেন রসায়ন বিভাগের স্বনামধন্য অধ্যাপক অশোক প্রসূন চট্টোপাধ্যায়, সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়, মিতালী সরকার, সুভাষ দেবনাথ, মনিন্দ্রনাথ বেরা, অষ্টম কুমার মহাপাত্র, বিভাগীয় প্রধান কুমারেশ ঘোষ এবং রসায়ন বিভাগের অফিস সমন্বয়কারী ফারুক আহমেদ।

কেবল বিজ্ঞানশিক্ষা নয়, সমগ্র বাঙালি জাতিকে বিজ্ঞান মনস্ক এবং বিজ্ঞান চেতনায় জাগরুক করে তোলা, তাঁর আজীবনের সাধনা দেশবাসীকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান শিক্ষা ও প্রসার ছিল তাঁর ব্রত। ব্যবসাবিমুখ বাঙালিকে সাবলম্বী উপার্জনে অনুপ্রাণিত করা ছিল তাঁর লক্ষ্য। রসায়ন তথা বিজ্ঞানসাধনায় তাঁর অবদান সর্বজনবিদিত। বাংলাভাষায় বিজ্ঞান চর্চাতেও আচার্যের অবদান অনস্বীকার্য।

‘Life and Experience of a Bengali Chemist” তাঁর আত্মচরিত। ইংরেজি ও বাংলায় রচিত বহু গ্রন্থ তাঁর সাহিত্য সাধনার পরিচয় বহন করে। তাঁর আত্মচরিত ইংরেজিতে লেখা হলেও বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং পাঁচ বছরের মধ্যে আত্মচরিতের বাংলা সংস্করণ প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুনঃ ৯৭.৬৯ শতাংশ নয়, উচ্চমাধ্যমিকে পাসের হার ১০০ শতাংশ, ঘোষণা সংসদের

এছাড়া বাংলায় লেখা “বাঙালির মস্তিষ্ক ও তার অপব্যবহার এবং অন্নসমস্যায় বাঙালির পরাজয় ও তার প্রতিকার’ তাঁর অন্যতম উল্লেখযােগ্য প্রবন্ধ। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ “History of Hindu Chemistry” দুই খণ্ডে প্রকাশিত হয়। চরক, সুশ্রত, বাণভট্ট, বৃন্দ, চক্রপাণি কিংবা নাগার্জুন যে দীর্ঘ বর্ণনা দিয়েছেন সেই সব অজানা তথ্যকে প্রফুল্লচন্দ্র দুখণ্ডে প্রকাশ করেছিলেন। আর এটিই তাঁর দীর্ঘ গবেষণা সমৃদ্ধ রচনা।

আরও পড়ুনঃ মৌ সাহিত্য পত্রিকার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি ও কৃতি সংবর্ধনা

ব্রিটিশরা চিরকালই ভারতীয়দের হেয় দৃষ্টিতে দেখেছে। কিন্তু সেই সময় প্রফুল্লচন্দ্র তাঁর মেধা ও গবেষণা দ্বারা প্রমাণ করেছিলেন, ভারতবাসীরাও পিছিয়ে থাকার নয়। শুধু তাই নয়, রসায়ন শিক্ষার প্রসারে তার উদ্যোগী ভূমিকা স্মরণীয়। তিনি আজীবন দেশের মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়ােজিত করেছিলেন। বিজ্ঞানসাধক প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের জন্মদিনে শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here