নেতাই কার! শুভেন্দু বনাম তৃণমূল

0
158

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ

death member | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

প্রতিবছরের মত এবছরও নেতাই গ্রামের শহীদ পরিবারকে পাশে নিয়েই প্রথম শহীদ বেদীতে মাল্যদানের মাধ্যমে শহীদ তর্পণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু শুভেন্দুর সঙ্গে নতুন মুখ হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সভাপতি সুখময় সৎপতি। বৃহস্পতিবার সকালে ৮.৩০ মিনিট নাগাদ বাইক মিছিলের মাধ্যমে নেতাইয়ে পৌঁছায় শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু আসার আগে থেকেই শহীদ বেদীর কাছে উপস্থিত ছিলেন নেতাই গণহত্যার শহীদ পরিবারের এবং আহত পরিবারের লোকজনরা। উপস্থিত ছিলেন নেতাই শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির সভাপতি দ্বারকানাথ পান্ডা। নেতাই পৌঁছিয়েই শুভেন্দু প্রতিবছরের মত প্রথমে শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন। তারপরেই শহীদ পরিবারের পুরুষদের হাতে শাল ও মহিলাদের হাতে শাড়ি তুলে দেন। এর পাশাপাশি আর্থিক সাহায্যও করেন।

suvendu adhikari | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

এই বছর নেতাই শহীদ তর্পণ কে কেন্দ্র করে জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছিল। শুভেন্দু নেতাই আসার ঘোষণা করার পরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে নেতাই দিবস পালনের আলাদা কর্মসূচি নেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে নেতাই গ্রামবাসী এবং নেতাই শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়,তারা রাজনীতি থেকে দূরে অবস্থান করে সকাল সকাল শহীদ বেদীতে মাল্যদান করবেন। গতকাল রাতেই তৃণমূলের লোকজন ফুল ও শহীদদের ছবি দিয়ে সাজিয়ে তোলে নেতাইয়ের শহীদ বেদী। তৃণমূলের সাজানো শহীদ বেদীতে শহীদ পরিবারকে পাশে নিয়েই মাল্যদান করেন শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুনঃ নেতাইয়ের শহীদ বেদীতে শুভেন্দুর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন

suvendu adhikari | newsfront.co
শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “২০১১ থেকে যারা কোনদিন নেতাইয়ে আসেনি, নেতাইয়ের শহীদ এবং আহত পরিবারের খোঁজ কোনদিন নেইনি। আমরা স্মৃতি রক্ষা কমিটির নামে এই অনুষ্ঠান করি। এই গ্রামে সব দলের লোক আছে। কোনদিন আমার এখানে রাজনীতি করিনি। আজকে কুড়মি সমাজের একটা অংশ বনধ ডেকেছে তাই আমরা সীমিত ভাবে অনুষ্ঠান রেখেছি। এদের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক এই সম্পর্কটা রাজনীতির ঊর্দ্ধে। যদি এই সম্পর্কটা কেউ ছেঁড়ার চেষ্টা করেন দশ বছর জেলে কাটিয়ে, তাহলে এতো সহজ হবে না। এইসব লোকের জন্য এই লোক গুলো মারা গেছে। শুধু সিপিএম কে দোষ দিলে হবে না,বিগত দিনে জনসাধারণ কমিটির নামে গোটা এলাকাটাকে যারা বিশৃঙ্খল করেছে তারা এসে গণতন্ত্রের কথা বলবে! বলবে শুভেন্দু অধিকারী কে লালগড়ে আটকে দেবে, ক্ষমতা থাকলে আটকে দেখাওতো। আমি মৃত্যুকে ভয় পায় না।”

আরও পড়ুনঃ ক্যাপিটল হিল হামলায় নিন্দায় সরব বিশ্ব, ব্যথিত মোদী

লালগড় থেকে নেতাই গ্রাম পর্যন্ত তৃণমূলের দলীয় পতাকায় ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নেতাই গ্রামের শহীদ বেদীর সামনে না বিজেপি না তৃণমূল কোন রাজনৈতিক দলের দলীয় পতাকা দেখা যায়নি। শহীদ বেদীর দূরে তৃণমূলের পতাকা দেখা গেলেও বিজেপির পতাকা দেখা যায়নি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here