বিজেপির দাবি ‘পুলওয়ামা হামলার খবর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী মুখে খাবার তুলতে পারেননি’

0
136

ওয়েবডেস্কঃ

পুলওয়ামা সন্ত্রাসের খবর শোনার পরেও নাকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন! কংগ্রেসের এই অভিযোগে তোলপাড় সারাদেশ। কিন্তু এর বিপরীতে সরকার সূত্র থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওই দিনের  নির্ধারিত সময়সূচি প্রকাশ করে দাবি করা হয় যে পুলওয়ামা আক্রমনের খবর শুনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিছু খেতে পর্যন্ত চাননি।

মোদির উদেশ্যে কটাক্ষের সুরে রাহুল গান্ধী লেখেন “পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার ৩ ঘণ্টা পরও প্রাইম টাইম মিনিস্টার ফিল্মের শুটিং চালিয়ে গিয়েছিলেন।” কংগ্রেস সভাপতি আরও লেখেন “দেশের শহিদ জওয়ানদের পরিবার যখন শোকের সাগরে ডুবে ছিলেন তখন প্রধানমন্ত্রী হাসতে হাসতে নদীতে শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। ”

এখানেই না থেমে রাজনৈতিক তরজার রেশ বাড়িয়ে এরপর রাহুল মোদি ও অমিত শাহের  রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মন্তব্য করে বলেন”১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ৩টেয় পুলওয়ামায় হামলা হয়। সেদিন বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ তামিলনাড়ুতে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন অমিত শাহ। এরপর রাত সাড়ে ৮টায় কর্নাটকে একটি সভাতেও যোগ দিয়েছিলেন শাহ। পরের দিন সকাল সাড়ে ১০টায় ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে’র যাত্রা শুরুর অনুষ্ঠানে ছিলেন মোদী।”

পুলওয়ামায় ভারতীয় সেনা জাওয়ানদের উপর হামলার পর, হামলা পরবর্তী পদক্ষেপে বিজেপির ভূমিকা নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন বিরোধীরা । জঙ্গি হামলার খবর পেয়েও বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের রাজনৈতিক কর্মব্যস্ততা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা।

তবে আজ রাহুলের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে বিজেপির   তরফে টুইট করে বলাা হয় “আপনার পেশ করা ভুয়ো খবর শুনতে শুনতে দেশবাসী ক্লান্ত। এসব ছবি শেয়ার করা বন্ধ করুন। আপনি বোধহয় পুলওয়ামা হামলার খবর আগেই জেনে গিয়েছিলেন। পরের বারের জন্য ভাল স্টান্ট করার চেষ্টা করুন, যেখানে কোনও জওয়ান থাকবেন না।”

উল্লেখ্য , রাহুলের আগে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা এক সাংবাদিক সম্মেলনে মন্তব্য করেন ” যে সময় গোটা দেশ শোকে কাতর, সেসময় প্রধানমন্ত্রী নিজেকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য জিম করবেট ন্যাশনাল পার্কে সন্ধে পর্যন্ত শুটিং করছিলেন। ক্যামেরাম্যানদের সঙ্গে বোটিং করছিলেন। পুলওয়ামার হামলা হয় বিকেল ৩ টের সময়। অথচ, প্রধানমন্ত্রী সন্ধে ৬ টা ৪০ পর্যন্ত প্রমোশোনাল ভিডিও শুট করছিলেন। গোটা দেশের তখন খাবার খাওয়ার ইচ্ছেই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, অথচ প্রধানমন্ত্রী সন্ধেবেলায় সময় চা, সিঙাড়া খাচ্ছিলেন। পুরোপুরি লজ্জাজনক। যখন গোটা দেশ দুঃখপ্রকাশ করছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী শুটিং করছিলেন, আর কোথাও পাবেন এমন প্রধানমন্ত্রী?”

 

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here