নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
সব সাম্রাজ্যেরই একটা সময়কাল থাকে। সেই সময়ের মধ্যেই থাকে তার ওঠা নামা, চড়াই-উতরাই। এই তুলনাটি বিজেপি-র ক্ষেত্রেও করা চলে। পাঁচ বছর আগের বিজেপি-র শাসনকালের অবস্থা আর এখনকার অবস্থার মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক।
ঝাড়খণ্ডের বিধানসভায় পরাজিত হয়েছে বিজেপি। যেখানে জেএমএম-কংগ্রেস জোট ৪৭ টি আসন পেয়েছে, সেখানে মাত্র ২৫ টি আসন লাভ করেছে গেরুয়া বাহিনী।
গতবারের তুলনায় জেএমএম-কংগ্রেস জোট যেখানে ২২ টি আসন বেশি পেয়েছে, সেখানে বিজেপি এবার ১২ টি আসন কম পেয়েছে। বলা বাহুল্য বিজেপি-র প্রজ্জ্বলিত প্রদীপ যে আসতে আসতে নিভছে এটাই তার প্রমাণ।
আরও পড়ুনঃ ‘আত্মরক্ষা’কে ব্যারিকেড করে সুলেমানের মৃত্যুর দায় স্বীকার বিজনোর পুলিশ সুপারের
এর আগে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ে কংগ্রেস ক্ষমতা দখল করায় চাপের মুখে পড়েছিল বিজেপি। এরপর মহারাষ্ট্রের গদি হারানোর ঘটনা গোদের উপর বিষফোড়া হয়ে বসেছে। বিজেপি-শিবসেনা জোট বরাবর কায়েম হলেও দুই দলের নীতিগত অমিলের কারণে শেষ মুহূর্তে সরকার গড়তে ব্যর্থ হয় তারা।
রেকর্ড বলছে, চলতি বছরে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি ক্রমশই ক্ষমতার শক্তি হারাচ্ছে। মহারাষ্ট্রে যেখানে তাঁরা ২০১৪ সালে ১২২টি আসন পেয়েছিল, সেখানে এ বছর তা কমে দাঁড়ায় ১০৫টি আসনে। আবার হরিয়ানায় আগের বারের তুলনায় ৭টি আসন কম পায় তাঁরা এবং ঝাড়খণ্ডে হাতছাড়া করে ১২ টি আসন।
আরও পড়ুনঃ ক্যাম্পাসে ঢুকতে না পেরে টুইটে নাগাড়ে ক্ষোভ প্রকাশ ধনকড়ের
এই দিকগুলি ছাড়াও সম্প্রতি অসাংবিধানিক সিএএ-র জেরে দেশ জুড়ে যে প্রতিবাদের আগুন জ্বলে উঠেছে, এবং তা প্রতিরোধ করতে বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি ফ্যাসিবাদের যা নমুনা দিয়েছে, তা প্রমাণ করে খুব দ্রুতই এই সরকারের থেকে ভরসা আর ভক্তি উঠে গেছে সাধারণ মানুষের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584