শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ
দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে উত্তর প্রদেশে কৃষক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কাছে বেওয়ারিশ গরু মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ১০ মার্চ ভোটের ফল প্রকাশের পর এই সমস্যার সমাধানে নতুন নীতি তৈরি করা হবে।
বিজেপি বিরোধীদের প্রশ্ন, এতদিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের নেতৃত্ব দেওয়া নরেন্দ্র মোদি ও উত্তর প্রদেশের যোগী প্রশাসন তাহলে কী করছিল? কেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দাবি করেছিলেন, তিনি গোশালা তৈরি করে বেওয়ারিশ গরুর সমস্যার সমাধান করে ফেলেছেন? মাস দুয়েক আগে বারাণসীতে এক জনসভায় নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘গরু নিয়ে কথা বলা অনেকের কাছে অপরাধ হতে পারে। কিন্তু আমাদের কাছে গরু পবিত্র, মায়ের মতো।’
কিন্তু সাত ধাপের নির্বাচনে পশ্চিম উত্তর প্রদেশ থেকে বুন্দেলখণ্ড এবং মধ্যবর্তী এলাকার দিকে এগোচ্ছে, ততই বিজেপি নেতারা বেওয়ারিশ গরু নিয়ে কৃষকদের ক্ষোভ বুঝতে পারছেন। এ ব্যাপারে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছেন সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেসের নেতারা; সেটি বুঝতেও পারছে বিজেপি। বিজেপি সূত্রের ব্যাখ্যা, এ কারণেই উত্তর প্রদেশে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলা অবস্থায় গত রবিবার খোদ মোদি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ পঞ্চম পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় ৫ বছর কারাদন্ডের সাজা লালু প্রসাদের
তবে বেওয়ারিশ গরু নিয়ে সংকট কিভাবে সমাধান হবে, সে ব্যাপারে তিনি ওই দিন কিছুই বলেননি। তবে ইঙ্গিত দিয়েছেন, গরুর গোবর বিক্রি করা লাভজনক করে তোলা হবে। অথচ যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় আসার পর উত্তর প্রদেশে গোরক্ষা বাহিনীর তাণ্ডব বেড়ে যায়। গবাদি পশুর বাজার, কসাইখানা বন্ধ হয়ে গেছে। কৃষিজমিতে চাষের কাজে অক্ষম কিংবা দুধ দেওয়া বন্ধ করলেই গরু নিয়ে চাষি, পশুপালনকারীরা সংকটে পড়ছেন। গরুর খাদ্য জোগাড় করতে না পেরে তারা বয়স্ক ও বলদ রাস্তায় ছেড়ে দিচ্ছেন। সেই সব বেওয়ারিশ গরুই আবার কৃষিজমিতে ঢুকে ফসল নষ্ট করছে। বুন্দেলখণ্ডের মতো খরাপ্রবণ এলাকায় সংকটটি আরো প্রকট।
আরও পড়ুনঃ নতুন সাইবার অপরাধ আইন এনেছে পাকিস্তান সরকার! বাকস্বাধীনতা হরণের অভিযোগ সমালোচকদের
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584