শ্যামল রায়, কোলকাতা:-কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দাপটের সাথে রাজত্ব চালালেও শেষ মুহূর্তে এসে প্রধানমন্ত্রীর কপালে ঘাম ঝরছে। এনডি এ থেকে তেলুগু দেশম বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে আরও এই সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে। তাই কেন্দ্রের জোটের প্রস্তুতি এখন চলছে জোর কদমে। কারণ 2019 সালের লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় চাইছেন কেন্দ্রে জোট গড়ে সরকার তৈরি হোক যেখানে নেতৃত্বে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে আদৌ কি সম্ভব হবে?
কারণ বাংলার রাজনীতি এক ধরনের, আর ভারতের রাজনীতি অন্য ধরনের। তাই বাঙালি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে হিন্দি বলয়ের নেতৃত্ব আদৌ কি মেনে নেবেন?
জানা গিয়েছে যে লোকসভায় বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকলেও ম্যাজিক নম্বর থেকে মাত্র দুটি বেশি। তার মধ্যে দুইজন আবার মনোনীত।
অর্থাৎ লোকসভায় বিজেপির নির্বাচিত সদস্য সংখ্যা ২৭২ জন। ঘড়ির কাঁটায় ম্যাজিক ফিগার মনোনীত সদস্য আছেন আর রয়েছেন স্পিকার। সুতরাং অনাস্থা প্রস্তাবের দিন মাত্র ২৪ জন সদস্য এদিক-ওদিক কাত হয়ে পড়লেই বিজেপির সরকার ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল।
এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে যে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই কি তাহলে বিজেপি সরকার ভেঙে যাবে?
আগামী লোকসভা ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় কতটা সফলতা পাবে? তার উন্নয়ন আমজনতা কতটা মেনে নেবে সেটাই এখন প্রশ্নাতীত। তবুও অনাস্থা প্রস্তাবের প্রস্তুতি নিয়ে বিজেপি চিন্তিত নয় বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই শিবসেনাকে আরো কাছে টানতে বিজেপি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানা গিয়েছে।
যদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আসে তাহলে বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদৌ কি অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেবেন না চুপচাপ থাকবেন এই প্রশ্নও উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
একদিকে বাংলার রাজনীতি অন্যদিকে ভারতের কেন্দ্রে রাজনীতি এই দুটোকে সামাল দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা পারবেন এই নিয়েই বিতর্কের ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা আর টেনশন বাড়ছে বিজেপি শিবিরে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584