শাসকদলের রিপোর্ট কার্ডের পালটা বিজেপির হাতিয়ার ‘তৃণমূলের ফেল কার্ড’

0
72

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

শাসকদল যে তাদের শাসনকালে উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। আর ঠিক সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে তৃণমূলের ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ডে। কিন্তু ঠিক কোন কোন ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ এখনো পিছিয়ে রয়েছে এবং সরকার ব্যর্থ হয়েছে, কার তথ্যসমৃদ্ধ রিপোর্ট এবার পেশ করলে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘টিএমসি ফেল কার্ড।’

book released | newsfront.co
টিএমসি ফেল কার্ড হাতে বিজেপি নেতৃবৃন্দ

১০ বছরের শাসনকালে কাজের সাফল্যের খতিয়ান দিয়ে তৃণমূল সরকার পেশ করেছিল রিপোর্ট কার্ড। যদিও বঙ্গ বিজেপির দাবি এর অনেক তথ্যই সঠিক নয়। শুধুমাত্র লোক দেখানো উন্নয়ন করে সার্বিক রাজ্যকে অনুন্নয়নের দিকে ঠেলে দিয়েছে তৃণমূল। সর্বভারতীয় মানচিত্র থেকে হারিয়ে গিয়েছে এক সময় ভারতের সোনার রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। তাই এবার গত দশ বছরে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরতে ‘তৃণমূল ফেল কার্ড’ প্রকাশ করল বিজেপি। রাজ্যের অর্থনীতি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তৃণমূল সরকার ব্যর্থতার তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরল বিজেপি।

আরও পড়ুনঃ  কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের বিপরীতমুখী পদক্ষেপ কোনো অবস্থাতেই নেওয়া হবেনাঃ রাজনাথ

সোমবার হেস্টিংসের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে ‘তৃণমূল ফেল কার্ড’ বুকলেট প্রকাশ করলেন বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য ও রাজ্য নেতা শিশির বাজোরিয়া। এই রিপোর্ট প্রকাশের পর তারা একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, ”১০ বছরে তৃণমূল সরকারের ব্যর্থতার কাহিনি আমরা বুকলেট দিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে চাই।

শুধু অর্থনৈতিক নয়, রাজনৈতিক, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মহিলা সুরক্ষা-সহ আরও অনেক বিষয়ে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা ও বাংলার দুর্দশার কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে এই বুকলেটে।” তাঁর অভিযোগ, এনসিআরবি’র রিপোর্ট অনুযায়ী, মহিলাদের উপর আক্রমণে বাংলা সারা দেশে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের উত্তরপ্রদেশের মত গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটবে! বিস্ফোরক মন্তব্য সায়ন্তন বসু’র

ধর্ষণের চেষ্টা এবং মহিলাদের উপর অ্যাসিড হামলায় রাজ্যের স্থান প্রথম।’ দলের রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাম আমলের শেষ দিকে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ছিল। তারপর তৃণমূল সরকারের প্রথম বছর ৩১৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়। কিন্তু এরপর থেকে আর বিনিয়োগ হয়নি। কর্মসংস্থান নিয়ে যা বলা হয়েছে, তার সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই।

প্রকাশিত ওই বুকলেট অনুযায়ী ঋণ ইস্যুতেও শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেন, ১০ বছর আগে এখানে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ২৫ হাজার টাকা ছিল। সেটা বেড়ে হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা। রাজ্যের ঋণের পরিমাণ ৪ লক্ষ কোটির বেশি হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ১৭ ডিসেম্বর মোদী-হাসিনার ভার্চুয়াল বৈঠক

বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন নিয়েও এই রিপোর্ট কার্ডের তথ্য প্রমাণ করেন দলের নেতা শিশির বাজোরিয়া। তিনি বলেন, ”প্রত্যেক বছর ধুমধাম করে বিজনেস গ্লোবাল সামিট হচ্ছে, কিন্তু বাংলায় লগ্নির চিহ্ন নেই। বাংলার অর্থনীতির পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। জিডিপি ৬.০৩ শতাংশ থেকে ৫.২৫ শতাংশে নেমে এসেছে। সরকারের কোনো জমি নীতিও এখানে নেই, এমনকি শিল্পে বিনিয়োগের পরিবেশ এখানে নেই।” এখন এটাই দেখার বিজেপির এই তথ্যের পাল্টা তৃণমূল তথ্য দিয়ে তাদের জবাব দেয় কিনা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here