নিজস্ব সংবাদদাতা,দার্জিলিংঃ
রবিবার শিলিগুড়িতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে এলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। এদিন দুপুর ১টা ২০ নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন তিনি। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ।
তিনি বলেন যে, ডায়মন্ড হারবারের মতো জায়গায় যেতে গেলে মনে হয় পাসপোর্ট লাগবে। পশ্চিমবঙ্গেরই একটা জায়গা সেখানে যাওয়া নাকি আমাদের অধিকার নেই। আমাদের সর্ব ভারতীয় সভাপতি নাড্ডাজী,কৈলাশ জীর উপর হামলা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে নারীদের তো কোন সুরক্ষা নেই, কোন সাধারণ মানুষের কোন সুরক্ষা নেই। আর যে কোন সময় যা কিছু হতে পারে।
তারপর সরকারের তরফ থেকে বলা হয় বিজেপি নাকি নাটক করে এইসব করছে। পুলিশ সম্পূর্ণ তৃণমূল কংগ্রেসের ক্যাডারের ভূমিকা পালন করছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর জলপাইগুড়ি সফরকে কটাক্ষ করে বলেন যে, এই সফর করে কোন লাভ নেই। আর যতই সফর করুন আর যত ‘শ্রী’ করুক , এই শ্রী করে, সাড়ে নয় বছর বাংলার মানুষের জন্য কোন কিছু করেননি।
আরও পড়ুনঃ বাংলার জামাইকে বহিরাগত তকমা তৃণমূলের! সরগরম রাজ্য রাজনীতি
এখন এই চার মাস ট্যাব, মোটরসাইকেল কত কর্ম সংস্থান এই সব করে এখন কিছুই হবে না। আর জলপাইগুড়ি সফরে এসে উলেন রায়ের বাড়িতে গিয়ে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ মুখ্যমন্ত্রীর।’ দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে, মানুষ দুয়ারে দুয়ারে সরকারকে দুয়ারে দুয়ারে জমদূত বলেন। আর আমিও বলছি দুয়ারে দুয়ারে জমরাজ। সাড়ে নয় বছর মনে ছিল না যে হাসপাতালের পরিষেবা ভাল করতে হবে,মানুষকে চাকরি দিতে হবে এবং এতএতো পরিযায়ী শ্রমিক বাইরে চলে যাচ্ছে। আর তার পরেও বলা হচ্ছে বহিরাগত।
আরও পড়ুনঃ শান্তনুর মানভঞ্জনে ঠাকুরবাড়িতে হাজির কৈলাস বিজয়বর্গীয়
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গারাই নিজের আত্মীয়। বাকিরা যে কোন প্রদেশ থেকে এলে বহিরাগত। আজকে লাখ লাখ পরিযায়ী শ্রমিকরা কোন রাজ্যে নিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্য কাজে যায় সেখানে থেকে যদি তাদের তাড়িয়ে দেয় তাহলে মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পারছেন কি হবে। সেই সব ভাই বোন গুলোকে বলে বহিরাগত তাহলে তাদের কি হবে। তাই বাংলার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে চায় না। তৃণমূল কংগ্রেসের না আছে আদর্শ,নীতি আর সংস্কৃতি। এবং দুয়ারে দুয়ারে সরকার হচ্ছে তার যে ফর্ম দিচ্ছে তার থেকেও টাকা তোলা হচ্ছে।
এতটাই নির্লজ্জ যে গরীব মানুষদের কাছ থেকে কুড়ি টাকা, পঞ্চাশ টাকা ইলেকশন ফান্ডে লাগবে। মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষায় কথা বলেন সত্যিই আমাদের মাথা হেঁট হয়ে গেছে। আর ২০২১ এ মে মাসে নাড্ডাজী মুখ্যমন্ত্রীকে গাড্ডায় ফেলবেন আপনি দিন গুনুন আর অপেক্ষা করুন। যদিও ওই দলে আর কেউ থাকবে না সবাই আমাদের দলে চলে আসবে। পিসিমণি আর ভাইপো কত বড় গাড্ডায় পড়বে সেইটা গোটা বাংলার মানুষ দেখবে।
আরও পড়ুনঃ শুভেন্দু অনুগামী কনিষ্ককে বহিষ্কার করল তৃণমূল
অপরদিকে শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে বলেন যে, শুভেন্দু অধিকারী গন- আন্দলন থেকে উঠে এসেছে। আজকে নন্দীগ্রাম আন্দলনের অন্যতম মুখ, আর মুখ্যমন্ত্রীর পেছনে অনেক অবদান রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। তারা দেখছেন যে তৃণমূলে থেকে কাজ করতে পারছেন না।
তাই এখন পিকে,ডিকেকে ডেকে বলছেন না. না বাবা যাস না আমাদের বাড়িতেই থাক। কেন এতো দিন মনে ছিল না। পিসিমণির তো একটাই এজেন্ডা ভাইপোকে প্রোমোট করা । কেন ওরা ভাইপোকে মানবে? আজকে চাল চুরি ,গরু চুরি ,জল চুরি সব টাকা কালিঘাট আর হরিশ মুখার্জী স্ট্রিটের ঠিকানায় যায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584