নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
‘পুলিশ আক্রমণ করলে আমরা তো আর মিষ্টি খাওয়াব না।‘ নবান্ন অভিযানের আগে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। রাজ্যে গণতন্ত্র ফেরানো, বেকারদের কর্মসংস্থান-সহ সাত দফা দাবিতে আগামিকাল নবান্ন অভিযান করবে বিজেপির যুব মোর্চা।
সেই অভিযানের রূপ কেমন হতে চলেছে? তার জবাবেই আজ, বুধবার সায়ন্তন বসু বলেছেন, ‘বিজেপি গণতান্ত্রিক শিষ্টাচার ভাঙতে চায় না। কিন্তু, তা একতরফা ভাবে মানাও সম্ভব নয়। পুলিশের আচরণের উপরই নির্ভর করবে আমাদের আচরণ। পুলিশ গুলি করলে আমরা তো মিষ্টি খাওয়াব না’।
আগামিকালের নবান্ন অভিযান সফল করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। তাই বৃহস্পতিবারের অভিযানকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সায়ন্তন বসু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘আগামিকাল হাজার হাজার বেকার যুবক রাস্তায় হাঁটবেন। তাঁরা সকলে গান্ধীজি না-ও হতে পারেন। সুভাষচন্দ্র বসুকেও স্মরণ করতেই পারেন তাঁরা।’
আরও পড়ুনঃ ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী
নবান্ন অভিযানের সমস্তরকম প্রস্তুতি সারা। কোন পথে, কী কায়দায় মিছিল হবে, পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে কীভাবে নবান্ন অভিযান সম্ভব তা ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা করে ফেলেছে বিজেপি। ঠিক হয়েছে ৪টি বড় মিছিল থাকবে ওই দিন। এছাড়া থাকবে ছোট ছোট বেশ কয়েকটি মিছিল।
আরও পড়ুনঃ এসবিআইয়ের পরবর্তী চেয়ারম্যান হচ্ছেন দীনেশ কুমার খারা
বিজেপির রাজ্য দফতর, হেস্টিংস কার্যালয়, হাওড়া ময়দান এবং সাঁতরাগাছি থেকে চারটি মিছিল নবান্নের অভিমুখে যাবে। দলের রাজ্য দফতর থেকে মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। হেস্টিংসের মিছিলের দায়িত্বে সামলাবেন রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়।
হাওড়া ময়দান থেকে মিছিলের অগ্রভাগে থাকবেন যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য, রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ এবং সাঁতরাগাছির মিছিলে দলের রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু। পরিস্থিতি দেখে অবশ্য পরিকল্পনা বদলাতেও পারে পদ্ম বাহিনী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584