উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
মতুয়া সম্প্রদায়ের লোকজনকে সিএএ আইন পাস করানোর পর তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া প্রসঙ্গে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের দুরত্ব বৃদ্ধি হচ্ছিল। ঠিক এই সময়ে সর্বভারতীয় বিজেপির সহ-সভাপতি মুকুল রায় দলের সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করিয়ে বলানো হল, তিনি বিজেপিতেই আছেন।
কিন্তু সাংবাদিকদের সামনে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শান্তনু ঠাকুরের হাত থেকে মাইক কেড়ে তাঁকে থামিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত ও মুকুল রায়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহল মনে করছে ঘটনাটি অবাঞ্ছিত ও বিশাদৃশ্য।
বুধবার বিজেপির হেস্টিংস অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। সঙ্গে ছিলেন মুকুল রায়, স্বপন দাশগুপ্ত, প্রতাপ গঙ্গোপাধ্যায়ের মত সিনিয়র বিজেপি নেতৃত্ব।
তাঁদের সামনেই শান্তনু ঠাকুর বলেন,”কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ আইন করেছে, তখন এই আইন লাগু তারা করবেই। আমি মতুয়া সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিলাম কবে তা লাগু হবে? এটা নিয়ে অযথা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তা নিয়ে খবরের কাগজ ও অন্যান্য মিডিয়ার সঠিক খবর দেয়নি। আপনারা এসব আর লিখবেন না। যারা সিএএ এর বিরোধিতা করেছে, তাদের দলে যাচ্ছি না। আগামী মাসের কুড়ি তারিখের মধ্যেই অমিত শাহ ঠাকুরবাড়ীতে গিয়ে সিএএ নিয়ে সব কিছু বলে আসবেন।
আমি জানতে চেয়েছিলাম, সিএএ নিয়ে কী হতে চলেছে। আর দিলীপ ঘোষ আমাদের নেতা। তাঁর সঙ্গে যখন ইচ্ছা আমি দেখা করতে পারি। আর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আমাকে ডাকলে আমাকে যেতে হবে নাকি? ওরা সিএএ বিপক্ষে। ওদের সঙ্গে কেন যাব?” সেই সময়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আপনি কী চাইছেন বিধানসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ লাগু হোক? এই প্রশ্নের উত্তর দেবার আগেই শান্তনু ঠাকুরের হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584