দলীয় কর্মীর মৃত্য বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে, নেতাদের একাংশকে বিঁধলেন বাগদার বিজেপি বিধায়ক

0
106

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ

“আগামী দিনে কর্মীরা কেউ আর বিজেপিতে থাকবেন না”, এবার সরাসরি দলেরই কিছু নেতার দিকে আঙ্গুল তুললেন বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস।

BJP MLA Biswajit Das
বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। ছবি: সংগৃহীত

বিজেপির একাধিক বৈঠকে তাঁর দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না ইদানিং। এমনকি শনিবার বনগাঁ শহরে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত বিশেষ সাংগঠনিক বৈঠক করতে এসেছিলেন। সেখানেও দেখা যায়নি বিশ্বজিৎকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বৈঠকে দেখা যায়নি বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়াকেও। তিনি দলের কিছু কর্মী-সমর্থককে নিয়ে দিঘায় বেড়াতে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন।

শুক্রবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান দলের কর্মী বনগাঁর ট’বাজার এলাকার বাসিন্দা, ঋষভ অধিকারী ও তাঁর মা। তাঁর মৃত্যুতে দলের নেতাদের একাংশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ। রবিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “বিজেপিতে কর্মীরা কেন থাকবেন? যে কর্মী (ঋষভ) দল করতে গিয়ে মারধর খেয়েছিল, মাথায় আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিল, তাঁর মৃত্যুতে বিজেপি নেতাদের সময় হল না বাড়িতে গিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর। শ্মশানযাত্রী হিসেবে দলের কাউকে দেখা যায়নি। তাই আগামী দিনে বিজেপিতে কোনও কর্মী থাকবে না।”

আরও পড়ুনঃ দীর্ঘ ৫৬ বছর পর হলদিবাড়ি ও বাংলাদেশের চিলাহাটি রুটে চালু হল ট্রেন চলাচল

উল্লেখ্য, বিশ্বজিৎ গিয়েছিলেন ঋষভের বাড়িতে। ছিলেন শ্মশানেও। তিনি সাংবাদিকদের এও বলেন যে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বনগাঁয় বৈঠক করতে আসার পর নেতৃত্বের উচিত ছিল তাঁকে ঋষভের মৃত্যুর ঘটনাটি জানিয়ে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া। অশোক কীর্তনিয়ার প্রসঙ্গে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিশ্বজিৎ বললেন, “দলীয় কর্মী মারা গেলেন, আর বিধায়ক দিঘায় আনন্দ করছেন। এটা ভাবা যায় না!”

আরও পড়ুনঃ মধ্যপ্রদেশে স্টেশনের বাইরে পুলিশকর্মী ও পার্কিং কন্ট্রাক্টরের মধ্যে হাতাহাতি, ভাইরাল সিসিটিভি ফুটেজ

বিশ্বজিৎ বাবুর প্রতিক্রিয়া জানার পরে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেব বলেন যে ,ঋষভ মারা যাওয়ার পরে তাঁর বাড়িতে দুজন মণ্ডল সভাপতি গিয়েছিলেন। এবং তিনি নিজে দেরিতে খবর পেয়েছিলেন।

বিশ্বজিৎ দাসকে কটাক্ষ করে জেলার সাংগঠনিক সভাপতির মন্তব্য, “বিশ্বজিৎবাবু তো জেলার সহ-সভাপতি। তাঁরও উচিত ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বিষয়টি জানানোর। আমাদের সঙ্গে আলোচনাও করতে পারতেন।” প্রসঙ্গগত উল্লেখ্য, ২০১১ ও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। গত লোকসভা ভোটের পরে তৃণমূল ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here