উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
শুক্রবার রাজ্যের বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিল বিজেপি। সদ্য তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বিজেপির রাজ্য দফতরে সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “এটা বাজেট নয়। এটা নির্বাচনী ইস্তহার।” একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ” আর তিন মাস বাদে ভোট। সরকার থাকবে কিনা কেন কেউ জানে না। তাই তিন মাস বাদে বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করার কোনো এক্তিযার নেই এই সরকারের। তৃণমূল সরকার ফেরার কোনো সম্ভবনাই নেই। আজকের দিনটিকে আমি কালাদিন বলছি।” তিনি বলে যান, “এই সরকার রাজ্যের মানুষের প্রভূত ক্ষতি করেছে।”
অন্য প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” রাজ্যসরকার বন দফতরের নিয়োগ নিয়ে যা তদন্ত করছে, আমি সরকারের এই প্রয়াসকে স্বাগত জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে এছাড়াও টেট পরীক্ষা সহ আরও যে সব পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি নিয়োগ হয়েছে সেগুলির তদন্ত করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।”
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এপ্রসঙ্গে বলেছেন, “বুঝতেই পারছি না, এটা বাজেট না ভোট বক্তৃতা! এই বাজেটে কর্মসংস্থানের কোনো সুযোগ নেই। আর ভোট সাথী কার্ড নিয়ে তামাশা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দশ কোটি মানুষের জন্য মাত্র দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। মাথাপিছু স্বাস্থ্য খাতে কতটাকা পড়ল?”
আরও পড়ুনঃ পার্শ্বশিক্ষকদের নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার
শমীক ভট্টাচার্য আরও বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ সাহায্য ছাড়া রাজ্যে কোনো প্রকল্প করা সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প গুলির নাম পরিবর্তন করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে কোনো বিনিয়োগ নেই। উল্টে শিল্পপতিরা এরাজ্যের বিনিয়োগ অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এই সরকার পাঁচ লাখ কোটি দেনা রেখে চলে যাবে। ওরা অগণতান্ত্রিক ভাবে আগামী পাঁচ বছরের পরিকল্পনা এখন করে নিয়েছে। ওরা জানে সাধারণ মানুষ আর ওদের ক্ষমতায় আনবে না।
আরও পড়ুনঃ ১০ দফায় ভোটের দাবি রাজ্য বিজেপির
রাজ্যের হাতে টাকাই নেই। কী প্রকল্প করবে ওরা?” কয়লা চুরির ঘটনায় সিবিআই তদন্তের পাশাপাশি সিআইডি তদন্ত করছে রাজ্য সরকার। এপ্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “কয়লা ও গরু চুরির ঘটনায় কাউকে আড়াল বা সরিয়ে দেওয়ার জন্যই সিআইডি এত পরে লেলিয়ে দেওয়া হল।” তবে এদিন বিধানসভায় বাজেট নিয়ে বিরোধী আন্দোলন করার জন্য বিজেপি বিধায়করা সচেষ্ট ছিলেন। অজ্ঞাত কারণে মিডিয়া, বিজেপি বিধায়কদের এই সমস্ত আন্দোলন টেলিভিশনে দেখাতে নিরুৎসাহী ছিলেন সাংবাদিকরা বলে আমার বিশ্বাস।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584