উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
কেন্দ্রীয় সরকার এক বছর কেটে গেলেও সিএএ চালু করল না। এর ফলে অনেক মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষরা, এখনও নাগরিকত্ব পেলেন না, সম্প্রতি জনসভায় ও বেশ কিছু মিডিয়ায় এরকম মন্তব্য করেছিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তাই এরকম বলার জন্য বিজেপির জনমানসে সুনাম নষ্ট হচ্ছিল। এর জন্য শান্তনু ঠাকুরকে সর্তক করল বিজেপি।
আরও পড়ুনঃ শুভেন্দুর সভার আগেই উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম,ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী
সিএএ নিয়ে কেন্দ্রের বিরোধিতা করে সাংবাদমাধ্যমে মতামত দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তাই এই নিয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্ব বেজায় চটেছে শান্তনু ঠাকুরের উপর। এর আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্যের বিরুদ্ধে।
এবার তাঁকে সতর্ক করল বিজেপি। সূত্রের খবর, তাঁর এই ধরনের মন্তব্যে বিরক্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। সিএএ নিয়ে মুখ না খুলতে নির্দেশ দিয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় থেকে শিব প্রকাশের মতো দিল্লির নেতারা। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করা নিয়ে নির্দিষ্ট সময়েই পদক্ষেপ করবে কেন্দ্র। দলের পক্ষ থেকে দেশে করোনা পরিস্থিতি কাটলেই সিএএ চালু করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এবিষয়ে ইতিমধ্যেই শান্তনু ঠাকুরকে চিঠিও দিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুনঃ মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো -অপরেটিভ ব্যাংকে চুরি,চাঞ্চল্য
মঙ্গলবার সকালে সুকান্তনগর ফুটবল মাঠের জনসভায় বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেছেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিএএ নিয়ে ব্যাখ্যা করুন, তাঁরা কী সিদ্ধান্ত নেবেন পরিষ্কারভাবে বলুন। আমরা সারা ভারতজুড়ে অল ইন্ডিয়া মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ নিয়ে সংগঠন করি। আমাদের সংগঠনে বেশিরভাগ মানুষই উদ্বাস্তু। এটা নিয়ে একটা বিভ্রাট তৈরি হচ্ছে। অমিতজি সিএএ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত সেটা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলে আমাদের সুবিধা হয়।”
অন্যদিকে, তৃণমূল বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ইতিমধ্যেই শান্তনু ঠাকুরকে তৃণমূলে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে কাজ করতে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন মমতাবালা ঠাকুরও। যদিও এই বিষয়ে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কোনও উত্তর দেননি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584