নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
আশা ছিল বাংলা দখলের, কিন্তু পুরণ হয়নি তা। ভোটে জিতবে বিজেপি, এই আশায় গেরুয়া ছাতার তলায় সেসময় বেশ বিপুল সংখ্যক মানুষের আনাগোনাও শুরু হয়েছিল। কাজেই দরকার হয়েছিল বড়সড় কার্যালয়ের। কিন্তু ভোটের ফল জল ঢেলে দিল সে আশায়, আর ভিড় ভাট্টাও কমে যেতে থাকলো। কাজেই এই পরিস্থিতিতে বাড়তি জায়গার আর প্রয়োজন নেই তাই হেস্টিংস কার্যালয়ের তিনটি তলা ছেড়ে দিল বিজেপি।
লোকসভা নির্বাচনের আগে হেস্টিংস এলাকার ওই বাড়ির ন’ তলা নিয়ে ভোটের কাজ শুরু করে বিজেপি। তারপরে বিধানসভা ভোটের কথা ভেবে বাড়িটির আরও চারটি তলা নেওয়া হয়। সেখানে বৈঠক করার জন্য বড় হলঘরের পাশাপাশি দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী-সহ অনেক নেতার অফিস হয়। শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যাযেরও অফিস ছিল ওই কার্যালয়ে।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে মামলা শীর্ষ আদালতে, হাজির হলেন না কেন্দ্রের আইনজীবী
বিজেপি সূত্রের খবর, ইদানীং রাজ্য সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অমিতাভ চক্রবর্তী ছাড়া কেউই হেস্টিংসের কার্যালয়ে বিশেষ বসতেন না। পরিস্থিতি অনুযায়ী আর অত বড়ো কার্যালয়ের প্রয়োজন বোধ করছে না বিজেপি।
আরও পড়ুনঃ ২০১১ সালের কুখ্যাত বিষমদ কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত নূর ইসলাম ফকির বা খোঁড়া বাদশা, সাজা ঘোষণা সোমবার
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য এযুক্তি মানতে নারাজ। তিনি বলেন, ভোটে হেরে যাওয়ার জন্য হেস্টিংসের কার্যালয় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, এমন নয়। ওই বাড়ি নাকি শুধুই বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয় ছিল। ভোটের পরে ছেড়ে দেওয়া হবে, এই চুক্তিতেই নেওয়া হয়েছিল। শমিক বাবু জানান, সম্পূর্ণ বাড়িটি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছেনা। পাঁচতলা এবং নয় তলার কার্যালয় থাকছে। কারণ, মুরলীধর সেন লেনে রাজ্য দফতরে স্থানাভাব আগে থেকেই রয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584