উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাতে বিজেপি লোক দেবে বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার দীঘার সমুদ্র সৈকতে মর্নিংওয়াক সারলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার দীঘার সমুদ্র তট বরাবর হেঁটে গেলেন সিহক গোলা থেকে মোহনা। কথা বললেন পর্যটকদের সঙ্গেও। চা-চক্রও করলেন সিহক গোলাতে।
ঠান্ডা আমেজে, গরম চায়ে চুমুক দিতে দিতে, প্রত্যেক দিনের মতো রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে চর্চা সেরে নিলেন তিনি। এদিনের চর্চার শুরুতেই ছিল সুদীপ্ত সেন। তিনি বলেন,”যে চিঠি দিয়েছেন, সিবিআই তার সত্যতা যাচাই করবে দিল্লিতে। সবটাই সিবিআইএর হাতে। তাতে যদি কেউ দোষী হয়ে থাকেন তবে তার বিচার হবে।”
মুখ্যমন্ত্রীর সভা প্রসঙ্গে বলেন, “লোকজন হবে না মুখ্যমন্ত্রীর সভায়। সেরকম হলে আমরা লোক পাঠিয়ে সহযোগিতা করতে পারি। সুশান্ত ঘোষ কোর্টের নির্দেশে ঘরে ফিরছেন। আগে যা হয়েছে, সেটা ভুলে লোকের কাছে প্রায়েশ্চিত্ত করুক। ক্ষমা চান, নতুন করে রাজনীতি শুরু করুন।”
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রী আসার ২৪ ঘন্টা আগেই, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল খড়্গপুর
অন্যদিকে শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর আরএসএ ময়দানে বিজেপির কিষান সমাবেশ ও যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই যোগদান কর্মসূচিতে প্রায় দশ হাজারেরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এই সভায় দিলীপ ঘোষ সহ উপস্থিত ছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার, মাহফুজা খাতুন, স্বদেশ নায়ক।এই কিষান সমাবেশ ও যোগদান কর্মসূচিতে দিলীপ ঘোষ বলেন,”সবাই মিলে লড়ব সোনার বাংলা গড়ব।”
তিনি বলেন, “সোনার বাংলা গড়তে সবার সহযোগিতা লাগবে। যেমন লোকসভা ভোটে দুই কোটি ত্রিশ লাখ লোক ভোট দিয়েছেন আমাদের। তারা বুঝিয়ে দিয়েছেন আগামী দিনে বিজেপি আসছে। তাই দিদিমণি ক্ষেপে গেছেন। উল্টোপাল্টা বকছেন। যাকে যা ইচ্ছা তাই বলছেন।” তাই সবাই মিলে লড়ব নতুন বাংলা গড়ব, ডাক দিলীপের।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যপালের কাছে নালিশের পরদিনই বদলি, শাস্তি বলে দাবি বৈশাখীর
এরপরই তিনি আরো বলেন, “আর এই যে পরিবর্তন হচ্ছে যারা চোখ-কান বন্ধ করে মান-সম্মান খুইয়ে কর্মচারীর মত তৃণমূলের মধ্যে ছিলেন তারা আজ তৃণমূল ছেড়ে চলে আসছেন। বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। কারণ, তারা জানতেন, তৃণমূলে থেকে বাংলার কোনও উন্নতি হবে না। তৃণমূলের মধ্যে যারা লড়াকু লোক ছিলেন তারা আজ ভাবছেন বিজেপির মাধ্যমে বাংলার পরিবর্তন হবে। তাই তারা বিজেপিতে আসছেন।
কেউ কেউ স্টেটমেন্ট দিচ্ছেন তাতেই ঘরের মধ্যে ঝগড়া লাগছে। রোজ কেউ-না-কেউ পালিয়ে যাচ্ছে। আর দিদিমণি হুমকি দিচ্ছেন। চলে যাও আমি দেখে নেব। কিন্তু যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চারটি কেস দিয়ে দিচ্ছেন, সিকিউরিটি তুলে নিচ্ছেন। বাড়িতে থাকা মুশকিল করে দিচ্ছেন। কিন্তু ভয় দেখিয়ে মানুষকে আটকে রাখা যায়নি। যেখানে সম্মান নেই, যেখানে অধিকার নেই আত্মসম্মান নেই, সেখানে কেউ থাকে না।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584