মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
করোনার জেরে সাড়াদেশের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের সর্বত্র চলছে লকডাউন। লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে জরুরি পরিষেবা এবং মুদির দোকান সহ একাধিক পরিষেবাকে। কিন্তু তারপরেও মানুষের এত চাহিদা যে সকাল হলেই শুরু হয়ে যায় দোকান বাজারে ভিড়।
নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুত করতে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ। এই সুযোগে কোন অসাধু ব্যবসায়ী যাতে ক্রেতাদের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যের পরিবর্তে অধিক মূল্য না নিতে পারে তার জন্য বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন দোকানে হানা দিচ্ছে মাথাভাঙ্গা ব্লক প্রশাসন।
শনিবার মাথাভাঙা ১ নং ব্লকের বিডিও সম্বল ঝা ও মাথাভাঙ্গা থানার আইসি প্রদীপ সরকারের নেতৃত্বে মাথাভাঙার ১ নং ব্লকের বিভিন্ন মুদির দোকানে গিয়ে হানা দেন। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে নিয়ে কথা বলেন। নির্ধারিত মূল্য থেকে বেশি মূল্যে জিনিসপত্র ক্রয় বা বিক্রয় হচ্ছে কিনা সেটা দোকানের মালিক এবং ক্রেতাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেন। এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবার জন্য এবং লকডাউন মানবার জন্য সকলের কাছে আবেদন জানান।
আরও পড়ুনঃ রক্তের চাহিদা মেটাচ্ছে পুলিশ
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের আশঙ্কা, কিছু কিছু মুদির দোকানে চাল, তেল, ডাল সহ অন্যান্য সামগ্রীর দাম বেশি নিচ্ছে। পাশাপাশি লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ছে লাউ, আলু, পটলের। সাধারণ গৃহস্থের সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে তা। এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা কালোবাজারি করতে পারেন। এমন অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন এলাকার সাধারন মানুষের কাজ থেকে। ওই খবর ব্লক প্রশাসনের কানে যাওয়া মাত্র নড়েচড়ে বসে মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লক প্রশাসন। ওই এলাকার বিভিন্ন দোকানে হানা দেয় তারা। ফলে অনেকটাই কালোবাজারি রোধ হবে বলে অনেকেই মনে করছেন।
এদিন বিভিন্ন মুদির দোকান হানা দেওয়ার পর ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান,কিছু কিছু জায়গা থেকে অভিযোগ আসছিল নির্ধারিত মূল্য থেকে কতিপয় ব্যবসায়ী বেশি মূল্য দিয়ে জিনিসপত্র বিক্রয় করছেন। বাধ্য হয়ে প্রয়োজনের তাগিদে ক্রেতারা সেটা ক্রয় করছেন। কিন্তু জুলুম হয়ে যাচ্ছে ক্রেতাদের উপর। বর্তমানে লকডাউনের ফলে যাতে কোনো রকম কালোবাজারি মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লকে না হয় তার জন্য ব্লক প্রশাসন তৎপর হয়ে উঠেছেন। ব্লক প্রশাসনের এই উদ্যোগকে এবং পুলিশের এই সহযোগিতাকে বাহবা জানিয়েছেন মাথাভাঙ্গার আমজনতা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584